ইসমাইল ইমন চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি ।।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট শেষ হওয়ার ১৫ মিনিট আগে বাঁশখালী , চট্টগ্রাম -১৬ আসনের আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাংসদ মুস্তাফিজের প্রার্থীতা।সিইসি এ সিদ্ধান্ত জানান। আচরণবিধি লঙ্ঘনের কারণে এ সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
৭ জানুয়ারি রবিবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ১৫ মিনিট আগে ইসির সচিব জাহাংগীর আলম বিফ্রিংয়ে এ তথ্য জানান।
তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে হুমকি দিয়েছিলেন বলে জানান ইসি সচিব৷
নির্বাচন কমিশন সচিব ব্রিফিংয়ে বলেন, “তিনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে হুমকি দিয়েছেন, তাদের উপর চড়াও হয়েছেন৷ সব বিবেচনায় নিয়ে কমিশন তার প্রার্থীতা বাতিল করেছে৷
এ বিষয়ে জানতে নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের মুঠো ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।
এর আগে চট্টগ্রামে নিজ এলাকায় অস্ত্র হাতে মিছিল, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উবায়দুল কাদের কে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য ও মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন সাংবাদিকদের হুমকি, হয়রানি করার অভিযোগে আলোচনায় এসেছিলেন এ সংসদ সদস্য।
নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান
তার বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা করেছিল ইসি।
এ আসনে তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্রের প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মুজিবর রহমান।
নির্বাচনী প্রচার শুরুর পরদিন গত ১৯ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুরের সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মজিবুর রহমানের সমর্থকরা। এ নিয়ে থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা করে দুই পক্ষ।
থানায় মজিবুরের অনুসারীদের মামলা নেওয়ায় গত ২২ ডিসেম্বর বাঁশখালী থানার ওসি তোফায়েল আহমেদকে মোবাইল ফোনে হুমকি দেন নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর। ভয়েস রেকর্ডটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়।এ নিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছিল।
পরে থানার ওসিকে ‘দেখে নেওয়ার হুমকি’ দেওয়ার ঘটনায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুরের আচরণ সুষ্ঠু ও অবাধ ভোটের জন্য ‘হুমকিস্বরূপ’ বলে প্রতিবেদন দিয়েছিল চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর আচরণবিধি লঙ্ঘন করে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান মোস্তাফিজুর। এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে প্রশ্ন করেন এক সাংবাদিক।
প্রশ্ন শুনে সঙ্গে সঙ্গে রেগে যান মোস্তাফিজুর রহমান, গালি দিয়ে ওই সাংবাদিককে হাত দিয়ে ধাক্কা দেন এবং হুমকি দিতে থাকেন। তার সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীরা এসময় অন্য সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন।
পরে চট্টগ্রামের মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা করতে বাঁশখালীর উপজেলা নির্বাচন অফিসারকে নির্দেশনা দেয় নির্বাচন কমিশন। পরে গত ২৬ ডিসেম্বর এ মামলা দায়ের করা হয়।