জাপানে সংঘটিত ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনও অনেকেই নিখোঁজ রয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে তারা। উদ্ধার অভিযান এখনও চলছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত সোমবার (১ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় বিকেলে জাপানের উত্তর-মধ্যাঞ্চলীয় ইশিকাওয়া প্রদেশে শক্তিশালী ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এরপর আরও ১৫৫টি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এসব ভূমিকম্পের বেশিরভাগেরই মাত্রা ছিল ৩-এর বেশি।
এই ভূমিকম্পের জেরে দেশটিতে সুনামিও আঘাত হানে। ইশিকাওয়া প্রশাসনিক অঞ্চলের ওয়াজিমা শহরে ১ দশমিক ২ মিটার উচ্চতার ঢেউ আঘাত হানে। এতে গত মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) পর্যন্ত অন্তত ৮২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।
ভূমিকম্পে ইশিকাওয়া প্রদেশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সুজু ও ওয়াজিমা শহরে। এই দুই শহরে অসংখ্য ঘরবাড়ি ও বহুতল ভবন ভেঙে পড়েছে। এতে বহু মানুষ ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকা পড়ে।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) জাপান টাইমস জানিয়েছে, ভূমিকম্প আঘাত হানার পাঁচদিন পরও স্থানীয় অধিবাসীরা ও সরকারি উদ্ধারকর্মীরা উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। তাদের মনযোগ এখন ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে লাশ উদ্ধার।
প্রতিবেদন মতে, এখন পর্যন্ত ১২৬ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে। আহত হয়েছে ৩৩০ জন। ধ্বংসস্তূপের নিচে কারও বেঁচে থাকার আশা ছেড়ে দিয়েছেন কর্মকর্তারা। যদিও ভূমিকম্পের ১২০ ঘণ্টা পর ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে একজন বৃদ্ধাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তার বয়স ৮০ বছর।
প্রতিবেদন মতে, এখনও ২১০ জন নিখোঁজ রয়েছে। ফলে মৃতের সংখ্যা নিশ্চিতভাবেই বাড়বে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। গত বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা জানান, উদ্ধারকর্মীরা ১৫০ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে। আরও যতটা সম্ভব জীবিত উদ্ধারের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকর্মীরা।