প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীর বিরুদ্ধে ‘কালোটাকা’ ছড়ানোর অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনের তৃণমূল বিএনপির মনোনীত প্রার্থী আবদুল মালেক ফরাজী। আজ শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে আবদুল মালেক ফরাজী বলেন, ‘কালোটাকা ছড়ানোর কারণে ভোটাররা চাইলেও আমাকে ভোট দিতে পারবেন না। কাজেই আমি এ নির্বাচন প্রত্যাহার করলাম। যদিও এখন আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন বর্জনের সুযোগ নেই, তবু আমি ঘোষণা দিয়ে এ নির্বাচন বর্জন করলাম। পাশাপাশি আমার ভোটারদের কাছে ক্ষমা চাইলাম।’
ময়মনসিংহ–৭ আসনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আবদুল মালেকের পাশাপাশি অন্য তিন প্রার্থী হলেন আওয়ামী লীগের রুহুল আমিন মাদানী (নৌকা), জাতীয় পার্টির মো. আবদুল মজিদ (লাঙ্গল) ও স্বতন্ত্র এ বি এম আনিছুজ্জামান (ট্রাক)।
নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আবদুল মালেক ফরাজী বলেন, ময়মনসিংহ-৭ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রুহুল আমিন মাদানী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এ বি এম আনিছুজ্জামান নির্বাচনে বেঁধে দেওয়া পরিমাণের চেয়ে বহুগুণ বেশি টাকা খরচ করছেন। নির্বাচন কমিশন থেকে নির্বাচনী খরচ ২৫ লাখ টাকা নির্ধারণ করে দিলেও এ দুই প্রার্থীর পোস্টার বাবদই খরচ ন্যূনতম ১২ লাখ করে টাকা। প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য প্রতিদিনের নির্বাচনী খরচ হিসেবে তাঁরা দিচ্ছেন ৩০ হাজার করে টাকা এবং প্রতিদিন ৫০০ প্যাকেট করে বিরিয়ানি। সব মিলিয়ে এ দুই প্রার্থী নির্বাচনে ২৫০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা খরচ করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আবদুল মালেক ফরাজিকে প্রশ্ন করা হয়, ‘কালোটাকা’ ছড়ানোর বিষয়টি নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা বা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত কোনো অভিযোগ করেছেন কি না। জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি জানি অভিযোগ করে কোনো লাভ হতো না, যে কারণে কোনো অভিযোগ করিনি।’
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রুহুল আমিন মাদানীকে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি। স্বতন্ত্র প্রার্থী এ বি এম আনিচ্ছুজ্জামানের মুঠোফোনে ফোন করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন। আনিচ্ছুজ্জামান ত্রিশাল পৌরসভার মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।