কোচ খুঁজে খুঁজে প্রায় হয়রান ব্রাজিল। এরইমধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ ফার্নান্দো দিনিজকেও বরখাস্ত করল দলটি। ফলে কোচশূন্য নেইমারদের ড্রেসিংরুম।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) চাকরি হারিয়েছেন দিনিজ। এক বিবৃতিতে ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন জানায়, ‘কাজ ও ত্যাগ-তিতীক্ষার জন্য সিবিএফ দিনিজকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে।’ গত বছরের জুলাইয়ে হলুদ জার্সিধারীদের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি।
দিনিজের অধীনে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের পাঁচটি ম্যাচ খেলে দুটি করে জয় ও পরাজয়ের পাশাপাশি একটি ম্যাচ ড্র করে ব্রাজিল।
কাতার বিশ্বকাপে অন্যতম ফেবারিট হিসেবে অংশ নিলেও ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গ হয় ব্রাজিলের। হেক্সার অপেক্ষা দীর্ঘ হওয়ার পর পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা গত বছরটা নতুন স্বপ্ন নিয়ে শুরু করেছিল। তবে তা ভালো কাটেনি নেইমার-ভিনিসিউসদের।
কাতার বিশ্বকাপের ব্যর্থতার পরিপ্রেক্ষিতে দেশীয় কোচ নিয়োগের ঐতিহ্য থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়ে ২০২৩ সাল শুরু করে ব্রাজিল। জিনেদিন জিদান, পেপ গার্দিওলা ও কার্লো আনচেলত্তির মতো ক্লাব ফুটবলের কিংবদন্তি কোচের ব্রাজিলের দায়িত্ব নেয়ার গুঞ্জন শোনা গেছে সারা বছর। এর মধ্যে রিয়াল মাদ্রিদের বর্তমান কোচ কার্লো আনচেলত্তিকে ঘিরে গুঞ্জন ছিল সবচেয়ে জোরালো। কিন্তু আনচেলত্তি নতুন করে রিয়ালের সঙ্গে চুক্তি করেছেন।
কাতার বিশ্বকাপের পর দিনিজ ছাড়াও আরও একজন দেশি কোচের অধীনে খেলেছে ব্রাজিল। ভারপ্রাপ্ত কোচ হিসেবে ব্রাজিলের যুবদলের কোচ রামোন মেনেজেস তিনটি ম্যাচে ডাগআউট সামলেছেন। বিশ্বকাপের পর মরক্কোর বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলে ব্রাজিল। এরপর তার অধীনে গিনি ও সেনেগালের বিপক্ষেও খেলেছে সেলেসাওরা। তার অধীনে তিন ম্যাচের দুটিতেই হারে ব্রাজিল।