রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লাগার পর শনিবার ও আগামীকাল রোববার (৬-৭ জানুয়ারি) পশ্চিমাঞ্চলে ট্রেন না চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) দিনগত রাত পৌনে ১টায় বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদারের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।
ওই পোস্টে বলা হয়, ‘জানানো যাচ্ছে যে, অনিবার্য কারণবশত ৬-৭ জানুয়ারি বেনাপোল এক্সপ্রেস ও ঢালারচর এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া মহানন্দা (আপ/ডাউন), রকেট (আপ/ডাউন), পদ্মরাগ (২১/২২), রংপুর শাটল (৯৭/৯৮), ঢাকা কমিউটার (৯৯), রাজশাহী কমিউটার (৫/৬) এবং বগুড়া কমিউটার (৫/৬) ট্রেন চলাচল আগামী ৬ ও ৭ জানুয়ারি পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। এছাড়া চিলমারী কমিউটার এবং লোকাল (৪৬২/৪৫৫/৪৫৬/৪৬১) ৬ জানুয়ারি (আংশিক) ও ৭ জানুয়ারি পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।
তবে পোস্টে ট্রেনগুলো চলাচল বন্ধের সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ জানানো হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, নাশকতা এড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল।
এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর রাজনৈতিক অস্থিরতা ও হরতাল-অবরোধে নাশকতা এড়াতে ৫ জোড়া ট্রেনের চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। তখন বলা হয়েছিল রাত্রিকালীন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ মনে করায় এসব ট্রেন বন্ধ করা হয়েছে।
১৫৪ যাত্রী নিয়ে দুপুর ১টায় বেনাপোল থেকে কমলাপুর স্টেশনের উদ্দেশে ছেড়ে আসে ট্রেনটি। যাত্রাপথে ১১টি স্টেশনে বিরতি নেয় বেনাপোল এক্সপ্রেস। ট্রেনে কমলাপুরগামী যাত্রী ছিলেন ৪৯ জন। ট্রেন ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রাত ৯টার দিকে। এর মধ্যে রাজধানীর গোপীবাগ পৌঁছালে আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে ট্রেনের চার বড়ি পুড়ে ছাই হয়েছে।
এসব বগিতে থাকা চারজনের মৃত্যু হয়েছে। দগ্ধ হয়েছে বেশ কয়েকজন। তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গত ১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও স্টেশনে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। আগুনে ট্রেনটির তিনটি বগি পুরোপুরি পুড়ে যায়। পরে একটি বগি থেকে মা ও শিশুসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।