দীর্ঘদিন পর গ্যাড়াকলে পড়েছে চীনের অর্থনীতি। এ অবস্থায়, বেইজিং চলতি দশকের মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশ হতে পারছেনা বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। খোদ দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এক বিবৃতিতে অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধীরগতির কথা স্বীকার করেছেন। শুধু তাই নয়, দেশে বেকারত্বের হার বেড়ে যাওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
চলতি দশক শেষ হওয়ার আগেই যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠবে চীন- গেল কয়েক বছর ধরে এমনটাই দাবি করে আসছিলেন দেশটির শীর্ষ কর্মকর্তারা। এর মধ্যেই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে উঠে আসতে শুরু করে চীনের অর্থনৈতিক মন্থর গতির খবর।
দেশটির জিডিপি কমতে শুরু করেছে বলেও দাবি করতে থাকেন অনেকে। তবে, প্রথম থেকেই এ বিষয়ে একদম মুখ বন্ধ করে ছিল চীনা কর্তৃপক্ষ। তবে, এবার সেই নীরবতা ভেঙেছে বেইজিং।
দীর্ঘদিন সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সম্প্রতি এক বিবৃতিতে দেশটির অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধীরগতির কথা স্বীকার করেন তিনি। এসময় দেশটিতে বেকারত্বের হার বেড়ে যাওয়ার কথাও জানান তিনি। এর মধ্য দিয়ে ২০১৩ সালের পর এই প্রথম বেইজিং অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের কথাও স্বীকার করল।
বিশ্লেষকদের ধারণা, ২০৪০-এর দশকে চীনের জিডিপি মার্কিন জিডিপিকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। তবে সেটা ঘটলেও চীন খুব বেশি এগিয়ে যেতে পারবে না। এমনকি বেশিদিন তারা শীর্ষস্থানেও থাকতে পারবে না। অথচ মহামারির আগে তাদের ধারণা ছিল, চীন ২০৩০-এর দশকের শুরুতেই যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চীনের অর্থনীতির মন্থরগতি অনেক গভীর হচ্ছে। ২০২৪ সালে এ সংকট আরও গভীর হবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। আর এ জন্য নিম্নমুখী জনসংখ্যা, চাহিদা কমে যাওয়া, তরুণদের মধ্যে বেকারত্ব, আবাসন ও ব্যাংক খাতের ধসকে দায়ী করা হচ্ছে। এ অবস্থায়, খুব শিগগিরই চীন বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশ হতে পারবে না বলেই মনে করছেন অর্থনৈতিক অনেক বিশ্লেষক।