ভারত তথা এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি ধারাভি পুনর্নির্মাণের দায়িত্ব পেয়েছে আদানি গ্রুপের একটি কোম্পানি। মুম্বাইয়ের বস্তি পুনর্বাসন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথভাবে এই কাজ করবে প্রতিষ্ঠানটি। এজন্য স্থপতি হাফিজ কন্ট্রাক্টর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিজাইন ফার্ম সাসাকি এবং যুক্তরাজ্যের পরামর্শদাতা সংস্থা বুরো হ্যাপল্ডকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স এবং ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
এশিয়ার বৃহত্তম বস্তিগুলোর মধ্যে অন্যতম এই বস্তির পুনর্বাসন নিয়ে ক্রমবর্ধমান বিরোধিতার মুখে এসব বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারতের আর্থিক রাজধানী মুম্বাইয়ের কেন্দ্রে অবস্থিত ধারাভি একটি জনাকীর্ণ এলাকা। এটির আকার নিউ ইয়র্কের সেন্ট্রাল পার্কের আয়তনের প্রায় তিন-চতুর্থাংশের সমান। এই বস্তিতে হাজার হাজার দরিদ্র পরিবার ছোট ছোট কোয়ার্টারে বাস করেন। যেখানে নেই সুপেয় পানি এবং পরিচ্ছন্ন পয়নিঃষ্কাষণ ব্যবস্থা।
সোমবার (১ জানুয়ারি) আদানি গ্রুপের নেতৃত্বাধীন ধারাভি রিডেভেলপমেন্ট প্রোজেক্ট প্রাইভেট লিমিটেড (ডিআরপিপিএল) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে,
মুম্বাইয়ের কেন্দ্রস্থলে ২৫৯ হেক্টর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত ধারাভি বস্তি পুনর্নির্মাণের জন্য নগর পরিকল্পনাবিদ এবং ডিজাইনারদের নিয়োগ করা হয়েছে। ডিআরপিপিএল স্থপতি হাফিজ কন্ট্রাক্টর, মার্কিন ডিজাইন ফার্ম সাসাকি এবং পরামর্শদাতা সংস্থা বুরো হ্যাপল্ডের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করছে।
তাছাড়া সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞরাও এই প্রকল্প দলে যোগ দিয়েছেন। বুরো হ্যাপল্ড হচ্ছে যুক্তরাজ্যের একটি নগর পরিকল্পনা এবং অবকাঠামো প্রকৌশল পরামর্শদাতা সংস্থা।
প্রসঙ্গত, ডিআরপিপিএল হচ্ছে আদানি গ্রুপ এবং মহারাষ্ট্র সরকারের যৌথ উদ্যোগ। কোম্পানি জানিয়েছে, ১ দশমিক ২ মিলিয়নেরও বেশি বাসা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে ১৯৬৯ সালের প্রতিষ্ঠিত সিঙ্গাপুর হাউজিং ডেভেলপমেন্ট বোর্ড থেকে নেয়া অনুপ্রেরণা। ধারাভি পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের জন্য সিঙ্গাপুর একটি অনুপ্রেরণামূলক উদাহরণ হিসেবে কাজ করছে।
গত জুলাই মাসে মহারাষ্ট্র সরকার ২৫৯ হেক্টর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত ধারাভি বস্তি পুনর্নিমাণে আদানির ৬১৯ মিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়। এই প্রকল্পকে বিশ্বের বৃহত্তম নগর পুনর্নির্মাণ প্রকল্প হিসেবে উল্লেখ করছেন সংশ্লিষ্টরা।