একদিকে বাড়ছে মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা। অন্যদিকে বিক্ষোভের মুখে লিবিয়ার শারারা তেলক্ষেত্রে উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ করা হয়েছে। ফলে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কায় বুধবার (৩ জানুয়ারি) দাম বেড়েছে ৩ শতাংশেও বেশি।
আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে এখন নতুন করে তেলের বাজারে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে লিবিয়ার শীর্ষ তেলক্ষেত্রে উৎপাদন ব্যাঘাত ঘটা। স্থানীয়দের বিক্ষোভের মুখে ওপেকের সদস্য দেশ লিবিয়ার শারারা তেলক্ষেত্রে উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। এই তেলক্ষেত্রে দৈনিক ৩ লাখ ব্যারেল পর্যন্ত তেল উৎপাদন হয়ে থাকে।
ইন্টারনেটে প্রচারিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে, দক্ষিণ লিবিয়ার ফেজান অঞ্চলের স্থানীয় বিক্ষোভকারীরা তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত শারারা মাঠ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিচ্ছে।
এতে বুধবার জ্বালানি তেলের দাম ৩ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। এদিন ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ২ দশমিক ৩৬ ডলার বা ৩ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ব্যারেলপ্রতি উঠে যায় ৭৮ দশমিক ২৫ ডলারে। এদিকে ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুডের দাম ২ দশমিক ৩২ ডলার বা ৩ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৭২ দশমিক ৭০ ডলারে।
বিগত ৫ দিনের মধ্যে বুধবার অপরিশোধিত তেলের উভয় বেঞ্চমার্কের দাম এতটা উঠে যায়, যেখানে নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ের পর সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম।
তেলের দাম বাড়ার বিষয়ে ওএএনডিএ এর সিনিয়র বাজার বিশ্লেষক বলেন,
লিবিয়ার বৃহত্তম তেলক্ষেত্রে বিক্ষোভ এবং লোহিত সাগরে কনটেইনারবাহী জাহাজে হামলার মতো ঘটনার প্রভাবে বাজারে চড়া দামে তেল লেনদেন হচ্ছে।
এছাড়া তেলের দামের ওপর প্রভাব ফেলছে ইরান সমর্থিত ফিলিস্তিনি হামাস গোষ্ঠির সঙ্গে ইসরাইলের যুদ্ধ। লেবাননের বৈরুতে হামাসের ডেপুটি লিডার হত্যার ঘটনায় ইসরাইল গাজা উপত্যকায় বোমা হামলা জোরদার করা হয়েছে। যদিও এক্ষেত্রে ইসরাইল দায় স্বীকার বা অস্বীকার করেনি।
এদিকে লোহিত সাগরে ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠির কনটেইনারবাহী জাহাজগুলোয় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে লোহিত সাগর এবং পারস্য উপসাগরের মতো গুরুত্বপূর্ণ রুটে তেল পরিবহন ব্যাহত হওয়ার উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।