প্রায় ১৫ বছর পর নারায়ণগঞ্জ শহরে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভোটের আগে শেষ নির্বাচনী জনসভায় এটি তার।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে শহরের ইসদাইর এলাকায় শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে উপস্থিত থাকবেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী সেখানে বক্তব্য প্রদানের মধ্য দিয়ে দলের নির্বাচনী প্রচার শেষ করবেন বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন।
দলীয় প্রধানকে বরণ করে নিতে জেলাজুড়ে এখন সাজ সাজ রব। স্থানীয় নেতাদের আশা, তিন লাখের বেশি জনসমাগম হবে এ জনসভায়।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামীম ওসমানের আয়োজনে শহরের ইসদাইর এলাকায় এ কে এম সামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স স্টেডিয়ামে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা। দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি জনসভা মঞ্চে এসে উপস্থিত হবেন। এদিকে দীর্ঘ ১৫ বছর পর বঙ্গবন্ধু কন্যার নারায়ণগঞ্জ আগমন উপলক্ষে দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে বইছে উৎসবের আমেজ। সমাবেশস্থলের আশপাশ এলাকা ছেয়ে গেছে ব্যানার-ফেস্টুনে।
জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, জনসভা চলাকালীন আশেপাশের সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখার কোনো পরিকল্পনা নেই। প্রয়োজনে কিছু যান চলাচলের ক্ষেত্রে ‘ডাইভারশন’ ব্যবস্থা করা হবে৷ প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতের দায়িত্ব আছে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ)। তাদের সঙ্গে সমন্বয় করে পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। জনসভাস্থল ও প্রধানমন্ত্রীর আসা-যাওয়ার পথে পোশাকে ৩ হাজার পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কাজ করছেন।
এর আগে শেখ হাসিনার আগমনকে কেন্দ্র করে শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) ফতুল্লায় নম পার্কে প্রস্তুতি সভা করেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও নৌকার প্রার্থী শামীম ওসমান।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন,
প্রধানমন্ত্রীর আসার খবরে আমাদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে৷ এত কঠিন শিডিউলের মধ্যেও এখানে আসার মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জবাসীকেও সম্মানিত করছেন৷
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই বলেন, যে যার মতো করে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে।
এরআগে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ওসমানী পৌর স্টেডিয়ামে এক নির্বাচনী জনসভায় নারায়ণগঞ্জ শহরে এসেছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।