বৈধ ও অবৈধ পথে প্রবেশ করা বিপুল পরিমাণ অভিবাসী কমাতে ভিসানীতি কঠোর করার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। তারই ধারাবাহিকতায় এবার উচ্চ শিক্ষার জন্য আসতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের পরিবার আনার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল দেশটি। গত সোমবার (১ জানুয়ারি) থেকে এটি কার্যকর শুরু হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি বলেছেন, ‘যুক্তরাজ্যে আগত বিদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজেদের পরিবারের সদস্যদের এ দেশে আনার যে অন্যায্য প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছিল, তা বন্ধে সরকারের গৃহীত নীতির বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।’
বিদেশি শিক্ষার্থীদের ওপর আরোপিত এই নিষেধাজ্ঞা স্নাতকোত্তর গবেষণা পর্যায়ে ভর্তি হওয়া এবং সরকারি অর্থায়নে বৃত্তিপাওয়া শিক্ষার্থী ছাড়া বাকি সবার ওপর প্রযোজ্য হবে। তবে ২০২৪ সালের আগে দেশটিতে আসা শিক্ষার্থীরা এই নিয়ম কার্যকরের আওতাভুক্ত হচ্ছেন না।
সরকারের এমন সিদ্ধান্তে বিদেশি শিক্ষার্থী নির্ভর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্র সংকট দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। তারা বলছেন, বাংলাদেশ, ভারতসহ এশিয়ান দেশগুলোর শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষায় বিকল্প অন্য কোনো দেশ বেছে নিতে পারেন।
গত বছরের মে মাসে তৎকালীন ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান এই নীতি প্রাথমিকভাবে ঘোষণা করেছিলেন। দেশটির জাতীয় নির্বাচনের আগে বৈধ অভিবাসীর সংখ্যা তিন লাখের নিচে নামিয়ে আনতে অভিবাসীনীতি আরো কঠোর করার উদ্যোগ নিলো ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ সরকার।