দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের বিভিন্ন আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারে দল চাপে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
বুধবার (৩ জানুয়ারী) দুপুরে রংপুর ধাপ এলাকায় গণসংযোগ ও কমিউনিটি মেডিকেল কলেজে চিকিৎসক ও স্টাফদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
জিএম কাদের বলেন, এবারে সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে, দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয়। আমরা তিনশ’ আসনে প্রার্থী দিয়েছি। তবে আমাদের কিছু প্রার্থীর নির্বাচন করার সক্ষমতা নেই, তাই হয়তো কেউ কেউ প্রত্যাহার করছেন। এর পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছে কিনা তা দেখা হচ্ছে। তবে বেশিরভাগ প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে গেলে দলের জন্য চাপ সৃষ্টি হবে। এমন হলে তখন পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তবে শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে জাতীয় পার্টি থাকার চেষ্টা করবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা শেষ পর্যন্ত থাকার চেষ্টা করছি। আমরা নির্বাচন কমিশনের সুষ্ঠু নির্বাচনের অঙ্গীকারের প্রেক্ষিতে এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। তবে ইতোমধ্যে কিছু কিছু জায়গায় ব্যত্যয় ঘটেছে। আমাদের ভোটাররা সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সংশয়ে ভুগছেন। তাদের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেয়ার মতো না। ব্যতিক্রম কিছু ঘটলে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এ সময় জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান, মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াছিরসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, রংপুর-৩ সদর আসনে জিএম কাদের ছাড়াও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির আব্দুর রহমান রেজু একতারা, বাংলাদেশ কংগ্রেসের একরামুল হক ডাব, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সহিদুল ইসলাম মশাল, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শফিউল আলম আম এবং তৃতীয় লিঙ্গের স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারা ইসলাম রানী ঈগল প্রতীকে লড়ছেন।
এই আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তুষার কান্তি মন্ডলকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। ভোটযুদ্ধে জিএম কাদেরসহ ৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে সাধারণ ভোটারদের কাছে ‘লাঙ্গল’ ও ‘ঈগল’ রয়েছে আলোচনায়।
আসনটিতে মোট ভোটার ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৭৬৮ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৪৭ হাজার ২৯৪ জন ও পুরুষ ২ লাখ ৪৭ হাজার ৪৭২ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ২ জন।