হামাসের রাজনৈতিক শাখার উপপ্রধান সালেহ আল আরৌরিকে হত্যার পর ইসরাইলে ‘হাই অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে। কারণ, লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরাইলি ড্রোন হামলায় আরৌরি নিহত হওয়ার পর এ ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে হামাস। এছাগা হামাস নেতা হত্যাকাণ্ডের কঠোর প্রতিশোধ নেয়ার অঙ্গীকার করেছে লেবাননের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে ইসরাইলে হাই অ্যালার্ট জারির তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
জানা গেছে, লেবাননের মাটিতে হামাসের উপপ্রধানকে হত্যা করার পর দেশটির শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর পাল্টা হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ইসরাইল। এর অংশ হিসেবে সেনাদের যে কোনো পরিস্থিতির জন্য ‘উচ্চ সতর্কতায়’ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র ড্যানিয়েল হ্যাগারি।
তিনি বলেন, ‘প্রতিরক্ষা বাহিনী আত্মরক্ষা এবং হামলা সব দিকেই উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। আমরা যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত।’
এর আগে সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, লেবাননের রাজধানী বৈরুতে এক বিস্ফোরণে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর উপপ্রধান সালেহ আল-আরৌরিসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন।
লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে বলা হয়, রাজধানীর দক্ষিণ উপকণ্ঠের দাহিয়েহতে হামাসের কার্যালয়ে মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) রাতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ইসরাইল থেকে ড্রোনের মাধ্যমে ওই হামলা চালানো হয় বলে জানানো হয়েছে।
তবে হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়ার বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, ইসরাইলি ড্রোন হমালায় হামাসের অন্তত ৭ সদস্য নিহত হয়েছেন।
হামাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাজনৈতিক নেতা সালেহ আল-আরৌরির হত্যাকাণ্ডকে একটি ‘ভয়াবহ ও নৃশংস আগ্রাসন’ বলে মন্তব্য করেন ইসমাইল হানিয়া।