বিএনপির বক্তব্যের মধ্যে যে পরিবর্তন এসেছে, তা আসল কথা নাও হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তথ্য আছে তারা ভেতরে ভেতরে ষড়যন্ত্র করছে।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বক্তব্য দেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি-জামায়াত আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে লিফলেট বিতরণ করছে। তারা ব্যর্থতার চোরাবালিতে আটকে গেছে; হরতাল-অবরোধ দিলেও জনগণ মানছে না।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি বলে একটা, করে আরেকটা। বিএনপি আগে যেভাবে নির্বাচন করেছে, তারা এই নির্বাচনও সেভাবে করছে। ভোটার উপস্থিতি হবে না – এটা ভাবলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। ৪ তারিখ লিফলেট বিতরণের পর বিএনপি খারাপ কিছু করবে ভেবেই সতর্ক অবস্থানে আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ড. ইউনূসের সাজার বিষয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিবৃতি প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের মামলায় রায় দেয়া নিয়ে তাদের মাথাব্যথা। গাজায় হামলার বিষয়ে তারা কী ভূমিকা রেখেছে? ইসরাইলের বিরুদ্ধে তো তারা কোনো কথা বলে না।
বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের শেষ জনসভা হতে যাচ্ছে জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এদিন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়ে তিনি বলেন, ১১ দেশের ৮০ জন পর্যবেক্ষক আসবেন। এরই মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) ও ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউটের প্রতিনিধিরা এসেছেন। বিভিন্ন দেশ থেকে ৫০ জন সংবাদকর্মীও আসবেন। ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টায় কমনওয়েলথের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হবে।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) আইন অনুযায়ী কর্তব্য পালন করতে পারছে দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আচরণবিধি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে ইসি। প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। নেত্রীও কঠোর অবস্থানে আছে। নির্বাচন কমিশন যত ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে ততই নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।
যে কোনো মূল্যে আওয়ামী লীগ অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায় উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, এ নির্বাচনের মধ্যদিয়ে গণতন্ত্র আরও সুসংহত হবে। আশা করি, ৭ জানুয়ারি ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে ভোট হবে।
তফসিল অনুযায়ী, এ নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ হয় ১৮ ডিসেম্বর। সে দিন থেকেই প্রচারণায় নামেন প্রার্থীরা। ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রচারণা চালানো যাবে। ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি। যাচাই-বাছাই ও আপিল নিষ্পত্তি শেষে ইসি জানায়, ২৭ রাজনৈতিক দলের মোট ১ হাজার ৮৯৬ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার আগের দিন আওয়ামী লীগ ও তার শরিক দলগুলো এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী নির্ধারণ শেষ হয়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ শরিক ১৪ দলকে ৬টি, জাতীয় পার্টিকে ২৬ আসনে ছাড় দেয়। দলটি প্রার্থী দিয়েছে ২৬৩টি আসনে।