ফরিদপুর-৩ আসনের নৌকার প্রার্থী শামীম হককে আওয়ামী লীগের নিবেদিত প্রাণ বললেন দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে ফরিদপুর পৌরশহরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে নির্বাচনী জনসভায় ফরিদপুরের প্রার্থীদের পরিচয় করানোর সময় তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ৭৫-এর পর আমরা বিদেশে রিফিউজি হিসেবে ছিলাম। ৮০ সালে আমি লন্ডনে যাই। শুধু তাই নয়, এরপর আমি যত বার গিয়েছি নেদারল্যান্ড যেতাম। সেখানে আমার ফুফাতো বোন শেলি জামান ছিল। বিভিন্ন দেশ ঘুরে ঘুরে আওয়ামী লীগ সংগঠন করেছি।
তিনি আরও বলেন, শেলি জামানকে সভাপতি ও শামীম হককে সাধারণ সম্পাদক করে নেদারল্যান্ড আওয়ামী লীগ গড়েছিলাম। সেখান থেকেই আমি জানি শামীম হক নিবেদিত প্রাণ, আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ একজন কর্মী।
‘‘বিদেশে থেকে দিনরাত পরিশ্রম করেও তিনি সেখানে সংগঠন গড়ে তোলেন। বাংলাদেশে এখন ফরিদপুরে কাজ করছে। তাকেই আমরা নোমিনেশন দিয়েছি। শামীম হক, আপনাদের কাছে তাকে তুলে দিয়ে গেলাম। নৌকায় ভোট দিয়ে তাদের জয়যুক্ত করবেন’’ যোগ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
এদিকে সাকিব আল হাসানকে ক্রিকেট রত্ন বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমাদের একটা রত্ন আছে, ক্রিকেট রত্ন সাকিব আল হাসান। মাগুরা-১ আসনে তাকে আমরা মনোনয়ন দিয়েছি। এবারের ইলেকশনে তুমি শুধু ছক্কা মেরে দিও।
সাকিব বিষয়ে তিনি আরও বলেন, সে (সাকিব) বলেছে ভাষণ দিতে পারে না। আমি বলবো তোমাকে কোনো ভাষণ দিতে হবে না। শুধু বলবে তুমি ব্যাট হাতে ছক্কা মারতে পারো, আর বল হাতে উইকেট ফেলে দেবে। এতেই হবে।
এর আগে বিকেল সোয়া ৩টার দিকে সভামঞ্চে ওঠেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এ সময় নৌকার প্রার্থীরা এবং দলের নেতারা তাকে স্বাগত জানান।
এদিকে জনসভা উপলক্ষে শীতের আড়মোড়া ভেঙে সকাল থেকেই জড়ো হতে থাকেন নেতাকর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় আরও বাড়তে থাকে।
ফরিদপুর শহরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবশেষ গিয়েছিলেন ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ। ওইদিন বিকেলে তিনি এই রাজেন্দ্র কলেজ মাঠেই বক্তব্য দিয়েছিলেন।
তফসিল অনুযায়ী আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ হয় ১৮ ডিসেম্বর। সে দিন থেকেই প্রচারণায় নামেন সব প্রার্থী। ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রচারণা চালানো যাবে। ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি। যাচাই-বাছাই ও আপিল নিষ্পত্তি শেষে ইসি জানায়, ২৭ রাজনৈতিক দলের মোট ১ হাজার ৮৯৬ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার আগের দিন আওয়ামী লীগ ও তার শরীক দলগুলো এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী নির্ধারণ শেষ হয়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ শরিক ১৪ দলকে ৬টি, জাতীয় পার্টিকে ২৬ আসনে ছাড় দেয়। দলটি প্রার্থী দিয়েছে ২৬৩টি আসনে।