ইংরেজি নতুন বছর বরণে বিশ্বের নানা প্রান্তে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। জমকালো আয়োজন আর বর্ণিল আতশবাজির মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাবে বিশ্ববাসী। তবে ঘড়ির কাঁটা অনুযায়ী বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন সময়ে নববর্ষ উদ্যাপন করে।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এরইমধ্যে অস্ট্রেলিয়ার সিডনি হারবার ব্রিজ ও অপেরা হাউজে ইংরেজি নববর্ষ উদ্যাপনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।
ভৌগলিক অবস্থানের কারণে নতুন বছরকে সবার আগে স্বাগত জানাবে প্রশান্ত মহাসাগরের টোঙ্গা, সামোয়া ও কিরিবাতি দ্বীপের বাসিন্দারা। তারপর নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানবাসী নতুন বছরকে বরণ করবে।
অস্ট্রেলিয়া-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ৯নিউজ জানিয়েছে, নববর্ষ উদ্যাপনের উৎসবে সাক্ষী হতে এরইমধ্যে সিডনি শহরের হারবার ব্রিজের চারপাশ শত শত উৎসুক জনতায় ভরে গেছে। তাদের অনেকে তাঁবু ও বিছানা পেতে সেখানে অবস্থান করছেন।
তবে অস্ট্রেলিয়ায় বর্ষবরণ উৎসবে ভাগড়া দিতে পারে বৃষ্টি।সংবাদমাধ্যম ৯নিউজ জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার পূর্বাঞ্চলে নববর্ষের দিন প্রচণ্ড বজ্রঝড় বৃষ্টি হতে পারে।
দেশটির আবহাওয়া বিভাগ, আজ রাতে রাতে কুইন্সল্যান্ড, নিউ সাউথ ওয়েলস ও ডারউইনের কিছু অংশে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।
এদিকে নতুন বছরকে বরণ করতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ার সাজানো হয়েছে আলোকসজ্জায়। বিশেষ করে ক্রিস্টাল বলে ক্ষণ গণনা করতে উন্মুখ হাজারো মানুষ।
যুক্তরাজ্যে বছরের প্রথম প্রহরে সবচেয়ে বড় আতশবাজি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে লন্ডনে।
২০২৪ সালকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত লাতিন দেশগুলোও। দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় প্রার্থনার পাশাপাশি শুরু হয়ে গেছে কার্নিভ্যাল। আলোকসজ্জায় সাজানো হলেও রাশিয়ার শহরগুলোয় এ বছরও হবে না আতশবাজি। উদযাপন নির্বিঘ্ন করতে ইউরোপের দেশগুলোয় সর্বোচ্চ নজর দেয়া হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থায়।