সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনের ১৪টিতেই নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিতরা। এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন এখন তারাই।
স্বাধীনতার পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন যারা পেতেন, তারাই দলের প্রার্থী হতেন। এবার দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করার পরই নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করার লক্ষ্যে মনোনীত প্রার্থীর পাশাপাশি ডামি বা স্বতন্ত্র প্রার্থী রাখার নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
এই নির্দেশনা পেয়ে ক্ষমতাসীন দলটির মনোনয়ন বঞ্চিতদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার হিড়িক পড়ে। এসব প্রার্থীরা এখন আওয়ামী প্রার্থীদের মাথাব্যাথার কারণ হয়ে উঠেছেন।
সিলেট-৬ আসনে নৌকার প্রার্থী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কারণে দল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে ধারণা করছেন নেতাকর্মীরা। তবে আমি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাইছি না।
বিভিন্ন আসনে আওয়ামীলীগ দলীয় প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী একে ওপরের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে ক্ষোভও ঝাড়ছেন। সিলেট-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও বিএমএ’র মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল সাংবাদিকদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে তার উদ্বেগের কথাও জানান।
সিলেট-৩ আসনে স্বতন্ত্রভাবে লড়ছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও বিএমএ’র মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল। তবে নির্বাচন ঘিরে শঙ্কা জানিয়ে তিনি বলেন, এই দেশে নির্বাচন করতে গিয়ে যদি কেউ হতাহতের শিকার হন, সে বিষয়গুলো আমি খুবই উদ্বিগ্ন।
অন্যদিকে, একই আসনের নৌকার মাঝি ও বর্তমান এমপি হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি দলের মনোনয়ন বঞ্চিতদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে বলেছেন, তিনি প্রচারণাকালে শুধু নৌকার জন্য ভোট চেয়েছেন। তাই স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে নৌকার প্রার্থীরা উদ্বিগ্ন নন।
এদিকে সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনের মধ্যে ১৪টিতেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিতরা। অবশ্য চার মন্ত্রী, ড. এ কে আবদুল মোমেন, এম এ মান্নান, ইমরান আহমদ ও শাহাবুদ্দিন আহমদের আসনে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী না থাকায় তারা বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছেন।