কাল বই উৎসবে মেতে উঠবে শিক্ষার্থীরা। বিতরণ করা হবে নতুন পাঠ্যবই। সরকারের দেয়া বিনামূল্যে এসব বই বিতরণের সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। এরইমধ্যে স্কুলে স্কুলে পৌঁছে গেছে বিভিন্ন শ্রেণির নতুন পাঠ্যবই।
করোনা কিংবা অন্য কোনো প্রতিবন্ধকতাও থামাতে পারেনি বই উৎসব। নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও ১ জানুয়ারি বই উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
ইতোমধ্যে সিলেটের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বই বিতরণ প্রায় শেষ করা হয়েছে।
বিভাগের প্রাথমিক স্তরের ৯ হাজার ৩৩৩ বিদ্যালয়ের ১৬ লাখ ৪৪ হাজার ৩৯৮ শিক্ষার্থীর হাতে ৬৯ লাখ ৫১ হাজার ৬৯টি বই তুলে দেয়া হবে। ইতোমধ্যে বিদ্যালয়গুলোতে শতভাগ নতুন বই পৌঁছে গেছে।
সিলেটের সরকারি কিন্ডারগার্টেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসিমা আক্তার চৌধুরী বলেন, আমরা নতুন বছরের প্রথম দিনই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেব। এর জন্য আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত।
মাধ্যমিকস্তরের সরকারি-বেসরকারি এক হাজার ৬৯ বিদ্যালয় এবং চারশ’ মাদ্রাসায় এক কোটি ৪৮ লাখ ৭৭ হাজার ১১৫টি বই বিতরণ করা হবে। ইতোমধ্যে মাদ্রাসাস্তরের সব এবং বিদ্যালয়গুলোরও প্রায় সব বই পৌঁছে গেছে। সোমবার নতুন বই তুলে দেয়া হবে শিক্ষার্থীদের হাতে।
সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের প্রধান মমতাজ বেগম বলেন, আমাদের প্রস্তুতি শেষ। নতুন বছরের প্রথম দিনে আমরা বাচ্চাদের হাতে বই তুলে দেব।
কাল বই উৎসবে মেতে উঠবে শিক্ষার্থীরা। বিতরণ করা হবে নতুন পাঠ্যবই। সরকারের দেয়া বিনামূল্যে এসব বই বিতরণের সব প্রস্তুতি শেষ
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর সিলেটের পরিচালক অধ্যাপক মো. আব্দুল মান্নান খান বলেন, শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে আমরা বই উৎসব সফল করব।
দেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের ২০১০ সাল থেকে বছরের প্রথম দিনে বিনামূল্যে নতুন বই দিয়ে আসছে সরকার।