ভারতের নিষিদ্ধ ক্রিকেট লিগ আইসিএল বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায়ের নাম। এই টুর্নামেন্টে খেলার কারণে জাতীয় দল থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন এক ঝাঁক তারকা ক্রিকেটার। এই লিগে খেলার জন্য বড় অঙ্কের প্রস্তাব পেয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাও। তবে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি একটি রাজনৈতিক সভায় এই কথা জানিয়েছেন ম্যাশ।
নড়াইল-২ আসন থেকে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছেন মাশরাফী। নির্বাচনকে সামনে রেখে বর্তমানে প্রচার-প্রচারণায় কাটাচ্ছেন সাবেক অধিনায়ক। সম্প্রতি সেই প্রচারণায় আইসিএল নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
২০০৫ সালে ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগে খেলার প্রস্তাব পেয়েছিলেন মাশরাফী। নিষিদ্ধ এই লিগে খেলার জন্য তখন ৮ কোটি টাকার প্রস্তাব পেয়েছিলেন ম্যাশ। তবে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ হারাবেন বলে সেই প্রস্তাবে না করে দিয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি একটি নির্বাচনী প্রচারণার অনুষ্ঠানে এই কথা জানান ম্যাশ।
তিনি বলেন, ‘আমার যখন ২৩ বছর বয়স ছিল, তখন আইসিএলে খেলার একটা প্রস্তাব আসছিল। আইসিএল নিষিদ্ধ একটা ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। সময়টা ছিল ২০০৫ সালে সম্ভবত। অনেক খেলোয়াড় চলে গিয়েছিল। আমার প্রস্তাব ছিল ৮ কোটি টাকা। এই টাকা দিয়ে আমার ঢাকায় যে বাড়িটা আছে এরকম ৮টা বাড়ি কিনতে পারতাম। এখন ৮০ কোটি টাকার সমান এটা।’
আইসিএলের প্রস্তাবকারীর সঙ্গে নিজের কথোপকথন নিয়ে ম্যাশ বলেন, ‘ওরা আমাকে বলল, ”আপনি খেলতে আসেন ৮ কোটি টাকা পাবেন।” আমি জিজ্ঞেস করলাম, এটাতে যদি খেলতে যাই তাহলে কী হবে। ওরা বলল, জাতীয় দলে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারবেন না। আমি বললাম, আচ্ছা তোর টাকা তুই পকেটে রাখ, তুই ফাইটে যা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি তো ক্রিকেট খেলতেই আসছি স্বপ্ন নিয়ে যে দেশের হয়ে খেলব। আমি তো টাকার জন্য ক্রিকেট খেলতে আসিনি।’
মাশরাফী না গেলেও আইসিএলে তখন খেলতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ১৪ জন। যাদের মধ্যে ১২ জন কোনো না কোনো সময় জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন। অনেকে তখনও খেলছিলেন জাতীয় দলের হয়ে আফতাব আহমেদ, মোহাম্মদ নাজিমউদ্দিন, শাহরিয়ার নাফিস, অলক কাপালি, ধীমান ঘোষ, মোশাররফ হোসেন রুবেল, ফরহাদ রেজা তাদের মধ্যে অন্যতম।