জাতীয় নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে ফের দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। রবি (৩১ ডিসেম্বর) ও সোমবার (১ জানুয়ারি) গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শুধু একজন ব্যক্তির সর্বময় ক্ষমতাধর হওয়ার ইচ্ছার কারণে আজ সারা দেশকে নৈরাজ্যের মধ্যে ঠেলে দেয়া হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, আজকে দেশের মানুষ আতঙ্কের মাঝে দিন পার করছে। দেশে ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটেছে এবং নারকীয় প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। চারদিকে পুলিশ-র্যাব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর রাজত্ব চলছে। বাড়ি থেকে লোকজনকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। নারীদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করছে। গ্রেফতার করলেও কোনো তথ্য দিচ্ছে না।
শেখ হাসিনা জনগণকে আতঙ্কের মধ্যে রেখে সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছেন মন্তব্য করে রিজভী আরও বলেন, তিনি তো জনগণের ওপর তার সাজানো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে সীমাহীন দমন-পীড়ন চালাচ্ছেন। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে আওয়ামী লীগ ভয় পাচ্ছে। নির্বাচন সামনে রেখে নীলনকশার বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। দেশকে নিয়ে গভীর ও ভয়ানক চক্রান্ত চলছে। দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
রিজভী বলেন, সরকারের পদত্যাগের একদফার আন্দোলন এখন বেশি ত্বরান্বিত হচ্ছে। প্রতিটি জনগণ আমাদের কর্মসূচিতে সমর্থন দিচ্ছে। নেতাকর্মীরা হাটে-মাঠে, ক্ষেতে-খামারে বাজারে-শপিংমলে জনগণকে আমরা লিফলেট দিয়েছি। তারা আমাদের কথা শুনছেন এবং সমর্থন দিচ্ছেন। কিন্তু অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করতে সরকার ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালে যেভাবে ষড়যন্ত্র করেছে, সেটিই আবারও করছে। পুলিশ হয়রানি করছে, গ্রেফতার ও মামলা দিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রে বিরোধী দল স্বীকৃত সত্য। কিন্তু সরকার সেটাকে মানতে চায় না। যাতে তাদের ক্ষমতার মধুর হাঁড়ি উল্টে না যায়। সে জন্যই শেখ হাসিনার ফ্যাসিজমকে পাহারা দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের পর থেকে বিভিন্ন ধাপে অবরোধ ও হরতাল পালন করেছে বিএনপি।
গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণের কর্মসূচি পালন করে আসছে দলটি।