১৫ আগস্ট হত্যা মামলার রায়ের দিন বিচারক যাতে কোর্টে যেতে না পারে সেজন্য হরতাল ডেকে খালেদা জিয়া বাধা দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, এ বিচার করতে গিয়ে অনেক বাধা এসেছে। কিন্তু আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আপনাদের ভোটে ২০০৮ সালে নির্বাচিত হয়ে দেশ কলঙ্কমুক্ত করেছি।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে কোটালীপাড়া পৌরসভার শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারি কলেজ মাঠে জনসভায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত গোপালগঞ্জ-৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। টুঙ্গিপাড়ায় ২০০১ সালের পর আজ দুপুর ১২টার দিকে নির্বাচনী জনসভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপরই কোটালীপাড়া জনসভায় যোগ দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
টুঙ্গিপাড়ার পর কোটালীপাড়া এসেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমানসহ পাকিস্তানি দোসরদের চক্রান্তে ১৫ আগস্ট আমরা আপনজন হারিয়েছিলাম। আমাদের দাঁড়ানোর জায়গা ছিল না। আমি খুনিদের বিচার করেছি। আমাকে অনেকেই তখন বলেছিল তুমি পারবে না, তোমাকেও ওরা মেরে ফেলবে। আমি বলেছি, জীবনের মায়া করি না। কিন্তু অন্যায়ের প্রতিবাদ করে যাব। বিচারহীনতার সংস্কৃতি এ দেশে চলতে পারে না। খুনিদের বিচার এ দেশে হবে।
এ বিচার করতে গিয়ে অনেক বাধা এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন,
বিচার শুরু হওয়ার পর সাক্ষী দেয়ার লোক পাওয়া যায় না। বিচার করতে যেয়ে খালেদা জিয়া বাধা দিয়ে হরতাল ডাকলো যাতে জজ সাহেব কোর্টে যেতে না পারে। রায়ের দিনও খালেদা জিয়া হরতাল ডেকেছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার জাতির পিতা শুরু করেছিলেন। এরপর জিয়াউর রহমান তা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। জাতির পিতা যাদের কারাগারে ভরেছিলেন, জিয়াউর রহমান তাদের মুক্তি দিয়েছেন। যারা পাকিস্তান চলে গিয়েছিল তাদের সেখান থেকে ফিরিয়ে এনে মন্ত্রী বানায়, গাড়িতে পতাকা তুলে দেয়।
কিন্তু কেউ রেহায় পায়নি। সবারই বিচার হয়েছে। এ দেশে কেউ অপরাধ করে পার পাবে না, বলেন তিনি।
এসময় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন,
২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর তাদের বিচার কার্যকর করি। আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে দেশ কলঙ্কমুক্ত করেছি। আপনাদের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করেছি।