স্ত্রীকে নিয়ে পর্নো ভিডিও তৈরি করে বিভিন্ন অনলাইনে পোস্ট করার দায়ে যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনের একটি স্টেট ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলরকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
ইউনিভার্সিটি অব উইসকনসিন সিস্টেমের বোর্ড অব রিজেন্টস সর্বসম্মতিক্রমে চ্যান্সেলর জো গাউকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জো গাউকের বেশ কয়েকটি ভিডিও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের দৃষ্টিগোচর হয়। এরপর বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) এক বৈঠক শেষে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, চ্যান্সেলর জো এর কর্মকাণ্ড খুবই ‘ঘৃণিত’ এবং ‘তার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তির অনেক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।
নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, জো গাউ ২০০৭ সাল থেকে উইসকনসিন-লা ক্রস বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। ১৯৬০–এর দশকের পর তিনিই বিশ্ববিদ্যালয়টির সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে চ্যান্সেলরের দায়িত্বে ছিলেন। তার স্ত্রী কারমেন উইলসন চ্যান্সেলরের অবৈতনিক সহকারী ছিলেন। ওই সভায় তাকেও দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
গাউয়ের দাবি, ভিডিওগুলোর কোথাও তিনি উইসকনিসন–লা ক্রস বা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার ভূমিকার কথা কখনো উল্লেখ করেননি। বোর্ড যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটি তার বাক স্বাধীনতার অধিকার লঙ্ঘন করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বার্তা সংস্থা এপিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে গাউ বলেন, ‘আমার স্ত্রী এবং আমি এমন একটি দেশে বাস করি যেখানে আমাদের (সংবিধানের) প্রথম সংশোধনী রয়েছে। আমরা সম্মতিপূর্ণ প্রাপ্তবয়স্ক যৌনতা নিয়ে কাজ করছি। রিজেন্টরা (বোর্ড সদস্য) অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন। তারা বাকস্বাধীনতার প্রতি তাদের নিজস্ব প্রতিশ্রুতি বা প্রথম সংশোধনী মেনে চলেন না।’
বোর্ডের এমন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে জানিয়ে গাউ বলেন, ‘গত রাতে আমি একটি ইমেইল পেয়েছি যে, আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আমি যদি শুনানির সুযোগ পেতাম, তখন যুক্তিবাদী লোকেরা বুঝতে পারতেন আমার স্ত্রী এবং আমি কী তৈরি করছি।
গাউ (৬৩) এবং তার ৫৬ বছর বয়সী স্ত্রী বহুদিন ধরেই পর্নোগ্রাফিক ভিডিও তৈরি করছেন। তবে সম্প্রতি তারা সেগুলো পর্নো ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেন। সেসব ভিডিওতে লাখ লাখ ভিউ পেয়েছেন বলে জানান তারা।