এবার ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় প্রবেশের টিকিটের দামের পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে স্টল-প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ও বরাদ্দ ব্যয়। তবে এখনও ঠিক হয়নি কবে বসবে এবারের আসর।
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারেই বসার কথা ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৮তম আসর। যদিও বছর শেষে এসেও নেই তেমন কোনো কর্মযজ্ঞ।
এরই মধ্যে অবশ্য এবার ৯ ক্যাটাগরিতে ৭২টি প্যাভিলিয়ন, ২৬০টি স্টল আর ৩০টি রেস্তোরাঁ বরাদ্দ দিয়েছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। যেখানে একেকটি প্যাভিলিয়ন পেতে ২২ লাখ টাকা পর্যন্ত গুনতে হয়েছে উদ্যোক্তাদের, স্টলে ৪ লাখ টাকা থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা আর রেস্তোরাঁ নিতে ইপিবিকে দিতে হয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা থেকে ১৭ লাখ টাকা।
প্রতিটিতে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা করে জমা দিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে ৭টি বুথ বসানোর অনুমতি নিয়েছে কয়েকটি ব্যাংক। বিনোদনের জন্য মেলায় থাকবে একটি শিশুপার্ক। যেটির বরাদ্দ মিলেছে ১৭ লাখ টাকায়।
তবে সাধারণত ১ জানুয়ারি থেকে বাণিজ্য মেলা শুরু হলেও এবার এই মেলা শুরু নিয়ে তেমন কোনো কর্মযজ্ঞের দেখা মেলেনি। মেলা প্রাঙ্গণে হাতে গোনা যে দুই তিনটি প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছে প্যাভিলিয়ন ও স্টল তৈরির কাজ, তারাও কাজ করছেন বেশ ঢিমেতালে।
এবিষয়ে প্যাভিলিয়ন বানানোর কাজে ব্যস্ত এক কর্মী বলেন, ২৭ ডিসেম্বর থেকে কাজ শুরু হয়েছে। কাজ শেষ করতে ১৫ জানুয়ারি অবধি সময় লাগতে পারে।
কিন্তু ডিসেম্বর তো শেষ, তাহলে কি ১ জানুয়ারিতে বসছে না ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার এবারের আসর? এমন প্রশ্নের জবাবে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২৪ এর পরিচালক বিবেক সরকার বলেন,
২৮তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ১৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে বলে আমরা আশাবাদী।
তাহলে কি ১৫ জানুয়ারিতেই বসছে বাণিজ্য মেলা, এমন প্রশ্নে একধাপ পিছিয়ে তিনি জানালেন, উদ্বোধনের চূড়ান্ত দিনক্ষণ নির্বাচনী পরিস্থিতি বিবেচনায় ঠিক করা হবে।
বিবেক সরকার বলেন, ‘বাণিজ্য মেলা ঠিক কবে শুরু হচ্ছে সেটি আমি আপনাদের নির্দিষ্ট করে বলতে পারছি না। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর একটি নতুন সরকার ক্ষমতায় আসবে। তখন আমাদের যেভাবে নির্দেশনা দেয়া হবে, আমরা সেই অনুসারে সিদ্ধান্ত নেব। সেভাবেই মেলা পরিচালনা করা হবে।’
এদিকে এবারের মেলায় প্রবেশ টিকিটের মূল্যও বাড়ানো হয়েছে। গতবারের চেয়ে ১০ টাকা বাড়িয়ে এবার বড়দের টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা আর বাচ্চাদের টিকিটের মূল্য ২০ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ২৫ টাকা।
২৮তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলাকে কেন্দ্র করে চলছে প্রস্তুতি, তৈরি হচ্ছে প্যাভিলিয়ন ও স্টল এবং বাড়ছে পরিসর। বিগত বছর গুলোর তুলনায় আসছে নানান পরিবর্তন। তবে নির্বাচন এবং রাজনৈতিক পরিবেশকে নিয়ে এখনও দোদুল্যমান অবস্থা আছে বাণিজ্য মেলা শুরু হওয়ার তারিখ। প্যাভিলিয়ন এবং স্টল বরাদ্দ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোও দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছে বাণিজ্য মেলা শুরু হওয়ার তারিখ নিয়ে।