ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোন হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে চালানো এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩১ জন। আর আহত হয়েছেন ১৬০ জনের বেশি।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক বার্তায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
তিনি বলেন, রাশিয়া তার অস্ত্রাগারের প্রায় সব ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করেছে। বাড়িঘর ও প্রসূতি হাসপাতালে আঘাত করেছে রাশিয়া।ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আরও জানান, হামলায় রাশিয়া বিভিন্ন ধরনের মিসাইল ব্যবহার করেছে। যার মধ্যে ব্যালিস্টিক ও ক্রুস মিসাইলও রয়েছে। তবে আমরা অধিকাংশই ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছি।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলেছে, প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী ১৫৮টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে রাশিয়া সারাদেশে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে।বিমানবাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, এর আগের সবচেয়ে বড় হামলাটি রুশ বাহিনী চালিয়েছিল ২০২২ সালের নভেম্বরে। ওই সময় ইউক্রেনজুড়ে একসঙ্গে ৯৬টি মিসাইল ছুড়েছিল তারা।
ইউক্রেনের সেনাপ্রধান জেনারেল ভ্যালেরি জালুঝনি জানিয়েছেন, বিমান বাহিনীর সেনারা মোট ৮৭টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ২৭টি ড্রোন ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছেন।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তম উমেরভ জানিয়েছেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি অভিযান শুরুর পর থেকে এই প্রথম রুশ বাহিনী এত বড় মাত্রার ক্ষেপণাস্ত্র-ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
রয়টার্সকে তিনি বলেন, গত রাতে যে হামলা ঘটল, তা থেকে এটা প্রায় স্পষ্ট যে আগ্রাসনকারী রাষ্ট্র তাদের শীতকালীন হামলার জন্য ক্ষেপণাস্ত্র-বিস্ফোরক আগে থেকেই মজুত করে রেখেছে। তাই অদূর ভবিষ্যতে এ ধরনের হামলা নিয়মিত ঘটতে পারে। আমাদের এখন থেকেই সেই প্রস্তুতি রাখতে হবে।
ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রুশ বাহিনীর শুক্রবারের হামলায় রাজধানী কিয়েভ ও জাপোরিঝিয়ায় ৮ জন করে, দানিপ্রোতে ৬, কৃষ্ণসাগরের তীরবর্তী বন্দরশহর ওডেসায় দুই শিশুসহ ৪ জন, খারকিভে ৩ জন এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লভিভে ২ জন নিহত হয়েছেন।