বগুড়ায় নিখোঁজ দুই বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন ও আনোয়ার হোসেনের খোঁজ মিললো অবশেষে। এই তথ্য পাওয়া গেল বগুড়া ৪ সংসদীয় আসনের সাবেক এমপিও বিএনপি নেতা মোশারফ হোসেনের ফেসবুক আইডিতে তারই দেওয়া স্ট্যাটাসে।
স্ট্যাটাসের বিবরণে দেখা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ভোরে নিখোঁজ আনোয়ার হোসেন তার নিজ বাড়িতে ফেরেন অপরদিকে দেলোয়ার হোসেন বুধবার রাতে তার স্ত্রীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেছেন। তবে নিখোঁজ থাকার সময়কালে তারা কোথায় কিভাবে ছিলেন এ ব্যাপারে দুই পরিবারের কেউ খোলাসাকরে কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন। দ’ুজনের মধ্যে আনোয়ার হোসেনের বাড়ি ফেরার বিষয়টি পুলিশ নিশ্চিত করলেও দেলোয়ারের ব্যাপারে কোনো তথ্য জানায়নি।
আনোয়ার হোসেন কাহালু উপজেলার বীরকেদার ইউনিয়নের ভোলতা দক্ষিণপাড়া এলাকার মৃত আজিজার রহমানের ছেলে ও উপজেলা বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক। এছাড়া তিনি বীরকেদার ইউপির সাবেক সদস্য। অপরজন উপজেলা বিএনপির ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন।
আনোয়ারের এক স্বজন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘আনোয়ার ভাই বৃহষ্পতিবার ভোরে নিজ বাড়িতে ফিরেছেন। তিনি সুস্থ আছেন। তবে তিনি কোথায় ছিলেন এ ব্যাপারে কাউকে কিছু বলছেন না।’
আনোয়ারের মা রমেনা বেগম বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ! আমার ছেলে ফিরে এসেছে, আমরা অনেক খুশি ।’
অপরদিকে দেলোয়ারের স্ত্রী সালমা খাতুন বলেন, ‘বুধবার রাতে আমার স্বামী আমাকে মোবাইলে কল দিয়েছিল। তিনি ভালো আছেন বলেছেন তবে তিনি কোথায় আছেন সে ব্যাপারে কিছু বলেননি। শুধু বলেছেন শিগগিরই দেখা হবে।’
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে শুক্রবার বগুড়া জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক এ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর বলেন, ওই দুজন বিএনপি নেতার নিখোঁজের ব্যাপারে হাইকোর্টে রিটের ব্যাপারটা তিনি জানেন। রিটের রুলে বিচারপতিরা ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে পুলিশকে নিখোঁজ দুই বিএনপি নেতার সন্ধান বের করেতে পুলিশকে নির্দেশনা দিয়েছেন মর্মে তথ্য রয়েছে , তবে তাদের সন্ধান লাভ সম্পর্কে তার কিছু জানা নেই। বিষয়টি সাবেক এমপি ও বগুড়া জেলা বিএনপি নেতা মোশারফ হোসেনের নির্বাচনী এলাকার হওয়ায় বিষয়টি তিনি ডিল করছেন বিধায় ওনার সাথে যোগাযোগ করতে পারেণ। তবে মোশারফ হোসেনের সংগে ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। উল্লেখ্য বগুড়া ৪ সংসদীয় এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক বিএনপি নেতা ও প্রাক্তন এমপি ডাঃ জিয়াউল হক মোল্লার ওপর শারীরীক হামলার ঘটনার পর সেখানে ধরা পাকড় অব্যাহত থাকায় সেখানকার নেতারা আত্মগোপনে রয়েছেন।