প্রদীপ রায় জিতু, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ॥
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দিনাজপুর-১ আসনে (বীরগঞ্জ-কাহারোল) পাঁচজন প্রার্থী অংশ নিলেও প্রচারের মাঠে দুই আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ছাড়া অন্যদের দেখা যাচ্ছে না। তারা হলেন বর্তমান এমপি মনোরঞ্জন শীল গোপাল (নৌকা) এবং বীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাকারিয়া জাকা ট্রাক প্রতীক। অন্য তিন প্রার্থীর প্রচারণা অনেকটা দায় সারা।
উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে বর্তমান এমপি মনোরঞ্জন শীল গোপাল, আওয়ামী লীগ থেকে স্বতন্ত্রপ্রার্থী ট্রাক প্রতীকে আলহাজ্ব জাকারিয়া জাকা, লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির শাহিনুর ইসলাম, হাতুড়ী প্রতীকে বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির আব্দুল হক এবং আম প্রতীকে বাংলাদেশ পিপলস পার্টির জহুরুল ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এই আসনে এবার মোট ভোটার সংখ্যা হলো ৩ লাখ ৯২ হাজার ৮২৬ জন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, দুইটি উপজেলার প্রতিটি চায়ের দোকানে এখন নির্বাচনী আলোচনার পাশাপাশি নির্বাচনী অফিস খুলেছেন নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ মনোনীত বর্তমান এমপি মনোরঞ্জন শীল গোপাল নৌকা এবং আওয়ামী লীগের আলহাজ্ব জাকারিয়া জাকা ট্রাক প্রতীক নিয়ে আলোচনা চললেও অন্য প্রার্থীদের বিষয়ে অনেকেই খোঁজ-খবর নেন না। তাদের নিজের বাড়িতে একটি অফিস থাকলেও অন্য উপজেলায় কোনো অফিস নেই।
বীরগঞ্জ উপজেলার নিজপাড়া এলাকার ভোটার আলম হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমাদের এ এলাকার ভোটাররা বর্তমান এমপি নৌকা প্রতীকে মনোরঞ্জন শীল গোপাল এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাকারিয়া জাকাকে চেনেন। এই এলাকার মানুষ এই দুই প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। শুনেছি আরো নাকি তিন প্রার্থী দাঁড়িয়েছেন। তাদের আমরা কখনো দেখিনি।
কথা হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সোহেল রানার সঙ্গে। সোহেল জানান, এবার সংসদ নির্বাচনে আমি প্রথম ভোট দেব। আমি ভোটার হওয়ার পর বর্তমান সংসদ সদস্য এমপি মনোরঞ্জন শীল গোপালকে ও বীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব জাকারিয়া জাকাকে চিনি। অন্য প্রার্থীদের নাম শুনিনি।
দায়সারা প্রচারণার বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির হাতুড়ী প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল হক জানান, আমি ছোটবেলা থেকে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমাকে এলাকার সবাই চেনে। কয়েকদিন থেকে বীরগঞ্জ উপজেলায় পোস্টার লাগানোর কাজ শেষ হয়েছে। অন্য উপজেলায় দু-এক দিনের মধ্যেই পোস্টার লাগানো শুরু হবে। জয়ের বিষয়ে আমি আশাবাদী।
বাংলাদেশ পিপলস পার্টির আম প্রতীকের প্রার্থী জহুরুল ইসলাম জানান, দুই উপজেলায় প্রচারের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। দুই উপজেলায় আমার একটি করে নির্বাচনী অফিস রয়েছে। আমি নতুন মানুষ সেই জন্যই অনেক ভোটারের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়ে ওঠেনি।
জানতে চাইলে বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ ফজলে এলাহী বলেন, এবারে নির্বাচনে এই আসন থেকে পাঁচজন প্রার্থী বিভিন্ন প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। সুষ্ঠু নির্বাচনে আমরা শতভাগ আশাবাদী।