জাতিসংঘের কর্মীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইসরাইল। এছাড়া যেসব কর্মীদের ইতোমধ্যেই ভিসা আছে, তা আর নবায়ন করা যাবে না বলেও ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) এক্সে (সাবেক টুইটার) দেয়া এক পোস্টে এই ঘোষণা দিয়েছেন ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলি কোহেন। খবর আল জাজিরার।
এক্স পোস্টে এলি কোহেন লেখেন,
যারা সন্ত্রাসী সংগঠন হামাসের সঙ্গে কাজ করেন, আমরা তাদের সঙ্গে কাজ করব না।
জাতিসংঘ পক্ষপাতিত্ব করছে অভিযোগ তুলে তিনি আরও বলেন, ‘জাতিসংঘের ভণ্ডামি দেখে আমরা আর চুপ থাকব না।’
ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাতিসংঘের কর্মীরা ভিসার অনুরোধ করলেই তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনুমোদিত হবে না বরং ভিসার বিষয়ে খুঁটিনাটি যাচাই-বাছাই করে দেখা হবে।
ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকেই ইসরাইলের নিন্দা করেছে জাতিসংঘ। এছাড়াও বারবার যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক আন্তোনিও গুতেরেস।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে রকেট হামলা চালিয়ে ১২০০ মানুষকে হত্যা করে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এছাড়াও আহত হয় আরও ৮ হাজার ৭৩০ জন। হামাসের হামলার জবাবে ৭ অক্টোবরই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল। এরপর আড়াই মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও গাজায় নির্বিচার এ হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি সেনারা। এ হামলা থেকে মসজিদ, বিদ্যালয়, হাসপাতাল, আশ্রয়শিবির- কিছুই বাদ যায়নি।
ইসরাইলি হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ২১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু। এছাড়াও আহত হয়েছেন ৫৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।