ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মুড়িগঙ্গা নদীতে ডুবে থাকা বাংলাদেশি জাহাজটি তোলার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জাহাজটি ২০১৩ সালে পশ্চিমবঙ্গের কাকদ্বীপ লট-৮ থেকে পানিপথে কচুবেড়িয়া যাওয়ার চ্যানেলে ডুবে যায়।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) নবান্নে গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে বৈঠকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেন মমতা।
বাংলাদেশি পণ্যবাহী জাহাজ মুড়িগঙ্গা নদীতে সাগর দ্বীপের কচুবেড়িয়া জেটি ঘাট থেকে বেশ কিছুটা দূরে ডুবে যায়। এরপর কয়েক বছর পার হয়ে গেলেও ওই পণ্যবাহী জাহাজটি আজও মুড়িগঙ্গা নদী থেকে তোলার কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি। এ কারণে কচুবেড়িয়ার ওই অঞ্চলের দিকে নতুন করে চর জমতে শুরু করেছে। যার ফলে যাতায়াতেও সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
বৈঠকে এ বিষয়টি উত্থাপন করেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। এরপরই এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মমতা।
তিনি জানতে চান, এখনও সেই জাহাজটি কেন তোলা হয়নি? এর জবাবে মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন, ফারাক্কা ও আরও একটি জায়গা থেকে ড্রেজার আনা হচ্ছে।
তখন মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, সেনাবাহিনীর অনেক বিশেষজ্ঞ আছে। জাহাজটিকে তুলে ফেলা সম্ভব নয়?
পরে মমতা সেচ দফতরের সচিবকে নির্দেশ দেন সেনাবাহিনীর সঙ্গে কথা বলে অবিলম্বে জাহাজটি তোলার ব্যবস্থা করতে। তখন দফতরের কর্মকর্তারা জানান, উলগানাথন জেলা প্রশাসক থাকার সময় জাহাজটি তোলার জন্য চেষ্টা শুরু হয়। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নৌবাহিনীর প্রতিনিধি। তার কাছেও মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে জানতে চান। তখন তিনি বলেন, নৌবাহিনীর কাছে এ ধরনের কোনও বিশেষজ্ঞ নেই। তবে ড্রেজিং করপোরেশনকে চিঠি লিখে আবেদন করার যেতে পারে বলে মুখ্যমন্ত্রীকে জানান কর্মকর্তারা।
সবকিছু শুনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়টি সময় সাপেক্ষ। গঙ্গাসাগর মেলার আগে জাহাজটিকে তোলা সম্ভব হবে না। তবে মেলা শেষ হওয়ার পর দ্রুত যেন মুড়িগঙ্গা থেকে জাহাজটি তুলে নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়।’