বর্তমান সরকারের অধীনে একতরফা নির্বাচন ও ক্ষমতাসীনদের নির্বাচনী ইশতেহার জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে দাবি বিএনপি নেতাদের। তারা বলেছেন, নির্বাচনের নামে তামাশা করে সরকার যাত্রাপালা শুরু করেছে।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ভোট বর্জনের প্রচারপত্র বিতরণ করে গণসংযোগ করেছে বিএনপি। এসময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, তামাশার নির্বাচন করে সরকার আবারও জনগণকে ভোটবঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র করেছে।
তিনি বলেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারি যেটা ঘটতে যাচ্ছে, সেখানে কি কোনো প্রতিপক্ষ আছে? সেখানে যে খেলা হচ্ছে, সেটাকে নির্বাচন বলা যায় না। সাধারণ মানুষ এই সরকারের পতন চায়।’
একই স্থানে আলাদাভাবে লিফলেট বিতরণ করে দলটির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, ভোট বর্জনের পাশাপাশি জনগণ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রত্যাখ্যান করেছে।
সেলিমা বলেন, নির্বাচন তাদের মুখে মুখে হয়ে গেছে। তারা শুধু ৭ তারিখের একটা ঘোষণা দিচ্ছে। এটা করা হচ্ছে একটা নাটক হিসেবে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ড. মঈন খানের দাবি, ‘নির্বাচনের নামে সরকার দেশে যাত্রাপালা মঞ্চস্থ করছে। ভোটের ফলাফল আগেই নির্ধারিত হয়ে গেছে।’
মঈন বলেন,
সরকার সব কিছু কুক্ষিগত করে রেখেছে। এই সরকার যত্ক্ষণ ক্ষমতায় আছে, ততক্ষণ এখানে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। নির্বাচনের নামে দেশে একটি যাত্রাপালা করা হচ্ছে। কল্পিত তৈরী করা ফলাফল কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠিয়ে ৭ জানুয়ারি তা ঘোষণা করা হবে।
ডিআরইউ থেকে বেরিয়ে সেগুনবাগিচা এলাকায় ভোটবর্জনের লিফলেট বিতরণও করেন ড. আবদুল মঈন খান।
এদিকে নগরীর মালিবাগ এলাকায় নির্বাচন বয়কটের ডাক দিয়ে সমাবেশ ও গণসংযোগ করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। একইসঙ্গে এলডিপি ও ১২দলীয় জোটও ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরণ করেছে। এসময় দলগুলোর নেতারা দাবি করেন, সরকারের পাতানো নির্বাচনে যাবে না জনগণ।