নড়াইলের লোহাগড়ায় নির্বাচনি প্রচারণা চালাতে গিয়ে হাঁটুতে ব্যথা পেয়েছেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। এরপরও খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ভোটারদের কাছে ছুটছেন সাবেক টাইগার অধিনায়ক। সবার সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে চাইছেন নৌকার জয়।
হাটু জোড়া বার বার বিদ্রোহ করে। ৪০ বছরের জীবনের অর্ধেকটাই ভুগিয়েছে। একটা সময় খেলার মাঠে নিয়মিত হতে পারেননি হাঁটুর ইনজুরিটার জন্য। আবার রুপকথার ফিনিক্স পাখির মতো ফিরেও এসেছেন দোর্দণ্ড প্রতাপে। খেলার মাঠের মাশরাফী এখন রাজনীতির মাঠে বড় নেতা। কিন্তু এখানেও ভোগাচ্ছে ঐ হাটুটাই।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সবাই যখন প্রচারণায় ব্যস্ত, মাশরাফীর হাটুর সমস্যা আবারো মাথা চাড়া দেয়। যার জন্য প্রচারণাও শুরু করেন দেরিতে। রোববার (২৪ ডিসেম্বর) প্রচারণা শুরুর পর থেকেই মাশরাফী দিন রাত এক করে নড়াইল চষে বেড়াচ্ছেন। যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) লোহাগড়ার লাহরিয়ায় প্রচারণায় সময় আবারো ঐ হাটুর ব্যথাটা ভোগাতে শুরু করে।
খুড়িয়ে খুড়িয়ে হেটেই মাশরাফী সম্পন্ন করেন প্রচারণার কাজ। এলাকাবাসীর দাবি-দাওয়া শুনেন, আশ্বাস দেন সেগুলো পূরণের। লোহাগড়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেতে হচ্ছে মাশরাফীকে। যাতায়াতের সুবিধার জন্য চলাফেরা করছেন মোটরসাইকেলে। দীর্ঘ সময় মোটরসাইকেলে পা সোজা রেখে ব্যথা কমানোর চেষ্টা করেছেন মাশরাফী।
মাশরাফী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর লোহাগড়ার যোগাযোগ খাতে ছোটখাটো বিপ্লবই ঘটিয়েছেন। তাইতো পথে-ঘাটে নেতাকে দেখলেই সামনে এসে দাঁড়ান সাধারণ মানুষ। এই ভালোবাসার প্রতিদান দিতে যাওয়াটাও বিপত্তির। হাটুর ব্যথায় একটা সময় ঠিক মতো দাড়াতেও পারছিলেন না। কিন্তু নামটা মাশরাফী বলেই তিনি সহজে দমে যাওয়ার না। ব্যথা নিয়েই সূর্য ডোবার আগ পর্যন্ত চালিয়ে যান প্রচারণা।
কখনো কখনো অতি সাধারণ হয়েও, অনেকে হয়ে ওঠেন অসাধারণ। মাশরাফী প্রথাগত রাজনীতির বাইরে নড়াইলে অনেক কিছুই করার চেষ্টা করেছেন। যার কারণেই তাকে ঘিরে সবার এমন মুগ্ধতা।