বর্তমান সরকার অধীনে একতরফা নির্বাচন ও ক্ষমতাসীনদের নির্বাচনী ইশতেহার প্রত্যাখ্যান করেছে জনগণ-এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতারা।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে নির্বাচন বয়কটের ডাক দিয়ে সমাবেশ ও গণসংযোগে এসব কথা বলেন দলটির তারা। এছাড়াও রাজধানীতে বিভিন্ন জায়গাতে বিএনপিসহ সমমনারা এ কর্মসূচি পালন করেছে।
ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগে দলটির একাধিক নীতিনির্ধারকরা বলেন, ফলাফল নির্ধারিত নির্বাচনে জনগণ অংশ নেবে না। নির্বাচনের নামে তামাশা করে সরকার যাত্রাপালা শুরু করেছে।
রাজধানীর মালিবাগ এলাকায় নির্বাচন বয়কটের ডাক দিয়ে সমাবেশ ও গণসংযোগ করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। একইসঙ্গে এলডিপি ও ১২ দলীয় জোটও ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরণ করেছে। এসময় নেতারা দাবি করেন, সরকারের পাতানো নির্বাচনে যাবে না জনগণ।
এদিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে একই প্রচারপত্র বিতরণ করে গণসংযোগ করেছে বিএনপি। এসময় বিএনপি নেতারা বলেন, তামাশার নির্বাচন করে সরকার আবারও জনগণকে ভোটবঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র করেছে৷
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আগামী ৭ তারিখে যেটা ঘটতে যাচ্ছে, সেখানে কী কোনো প্রতিপক্ষ আছে। আমি ডামি এবং আমার লোক। এদের মধ্যে যে নির্বাচনী খেলা, এটা আর যাই হোক, এটাকে নির্বাচন বলা যায় না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান বলেন,
নির্বাচন তাদের মুখে মুখে হয়ে গেছে। তারা একটা ঘোষণা দিচ্ছে আগামী ৭ তারিখে। এটা শুধু নাটক করার জন্য। যে নাটকে তারা, নাটক করতে করতে তারা আজকে ক্ষমতার লিপ্সু হয়ে বাংলাদেশের মানুষকে এমনভাবে কবজা করেছে যেখানে, সাধারণ মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। সবাই এ সরকারের পতন চায়।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ড. মঈন খান বলেন, নির্বাচনের নামে সরকার নাটক করছে। ভোটের ফলাফল আগেই নির্ধারিত হয়ে গেছে বলেও দাবিও করেন।
ড. মঈন খান বলেন, সরকার সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে কুক্ষিগত করেছে। এখানে কোনো সুষ্ঠু,নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না। যতক্ষণ পর্যন্ত এ সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত আছে।
ডিআরইউ থেকে বেরিয়ে সেগুনবাগিচা এলাকায় ভোটবর্জনের লিফলেট বিতরণও করেন ড. আবদুল মঈন খান।
একদিকে নির্বাচনী প্রচারণা, অন্যদিকে ভোটবর্জনের গণসংযোগ। নির্বাচনে অংশ নেয়া দলগুলো ছুটছেন সাধারণ মানুষের দ্বারে দ্বারে। আর সরকার বিরোধীরা জনগণকে ভোট না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বিতরণ করছেন প্রচারপত্র।