তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেছেন, রিজভীসহ গুটিকয়েক নেতা ভোট বর্জনের কথা বলেন। সবাই ভোট প্রত্যাখ্যান করলে বিভিন্ন দেশ পর্যবেক্ষক পাঠাত না।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের ইশতেহার প্রকাশ করা হয়েছে দাবি করে হাছান মাহমুদ বলেন, ১৭ কোটি মানুষের দেশে এখন ১৯ কোটি মোবাইল সিম। সত্যিকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। গ্রামের বেশির ভাগ এলাকায় শহরের সুবিধা পৌঁছে গেছে। সরকার গঠন করতে পারলে ঘোষিত ইশতেহার বাস্তবায়ন করতে পারব, ইনশাল্লাহ।
গত ১৫ বছরে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ছিল উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে দ্রব্যমূল্য সব সময় বেড়েছে। দেশে দ্রব্যমূল্য যতটা বেড়েছে তারচেয়ে বেশি ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। তবে সিন্ডিকেট ও মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়িয়ে দেয়। ভবিষ্যতে ক্ষমতায় গেলে সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে কঠোর হবে সরকার।
সিপিডির গবেষণা রিপোর্ট পরিপূর্ণ নয় দাবি করে তিনি বলেন, টিআইবি অনেক তথ্য গোপন করেছে। কারো বিরুদ্ধে তথ্য থাকলে তারা নাম প্রকাশ করুক। পদ্মা সেতুর সময়ও বিভিন্ন রিপোর্ট করে তারা। সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে নানান কর্মকাণ্ড করে।
অপপ্রচারে কান না দেয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশ ভারতের অঙ্গরাজ্য হবে–এমন কথা ভিত্তিহীন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে কূটনৈতিকভাবে বরং ভারত থেকে অনেক কিছু আদায় করেছে।
নির্বাচনবিরোধী প্রচারণার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও কেউ যদি প্রচারণা করে সেটি বিষয় ইসি দেখবে।