মেহেদী হাসান, শরীয়তপুর ॥
অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে শরীয়তপুরে ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ৭ দিন ব্যাপী শিক্ষক প্রশিক্ষণ মঙ্গলবার শেষ হয়েছে। ভেদরগঞ্জ হেডকোয়ার্টার সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৯ ডিসেম্বর এই প্রশিক্ষণ শুরু হয়। প্রথম পর্যায়ে ইআইআইএন-ধারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা এ প্রশিক্ষণ অংশগ্রহণ করার কথা থাকলেও কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ভেদরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এসএম গিয়াস উদ্দিন বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির মাধমে কাম্য শিক্ষাগত যোগ্যতাবিহীন নিয়োগপ্রাপ্ত নন এমপিও শিক্ষক, বিদ্যালয়ের খন্ডকালী শিক্ষক, কলেজ পর্যায়ের শিক্ষক, বিদ্যালয়ের অফিস সহকারীদেরকে এ প্রশিক্ষণের সুযোগ করে দিয়েছেন। এছাড়া এনটিআরসি এ সনদবিহীন ননএমপিও শিক্ষকদেরকে মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য মনোনিত করেছেন।
এক বিষয়ের শিক্ষককে অন্য বিষয়ের মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে অনুমোদন দেওয়ার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। পলাশ, বিল্লাল হোসেন, মামুন, আলমগীর হোসেনসহ প্রশিক্ষণার্থীদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন, এই সকল অনভিজ্ঞ, অদক্ষ ননএমপিওভুক্ত শিক্ষকরা মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে অন্য শিক্ষকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদানে অনেকটা ব্যর্থ হয়েছেন। আর যথাযথ প্রশিক্ষণ পাওয়ায় শ্রেণিকক্ষে যথাযথভাবে পাঠদান করতে সক্ষম হবেন না বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন। শিক্ষক প্রতি ৮০ টাকার নাস্তার পরিবর্তে ২০/৩০ টাকার নাস্তা খাওয়ানো হয়েছে যার মধ্যে পঁচা-বাসী সিংগাড়া ও পুড়ি ছিল। এ খাবার খেয়ে অনেক শিক্ষক অসুস্থ হয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে। প্রশিক্ষণ উপকরণ ছিল অত্যন্ত নি¤œমানের।
এক্ষেত্রে বাকী টাকা ভেদরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এসএম গিয়াস উদ্দিন আত্মসাৎ করেছেন বলেও ভুক্তভোগি শিক্ষকরা অভিযোগ করেছেন। উপস্থিত প্রশিক্ষণার্থী তালিকার বাইরেও অতিরিক্ত প্রশিক্ষার্থী দেখিয়ে ভাতার টাকা উত্তোলন করে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আত্মসাৎ করার পাঁয়তারার করছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে জানতে ভেদরগঞ্জ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এসএম গিয়াস উদ্দিনের মুঠোফোনে বার বার যোগযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।