গাজায় ইসরাইল-হামাসের যুদ্ধ বন্ধে এবং ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনের শাসনপ্রক্রিয়া কেমন হবে তা নিয়ে একটি প্রস্তাবনা পেশ করেছে মিশর। এতে তিন ধাপে বন্দি বিনিময় ছাড়াও গাজা থেকে ইসরাইলের সেনা প্রত্যাহার সম্পর্কে বলা হয়েছে।
আল জাজিরার সাংবাদিক বার্নাড স্মিথ জানিয়েছেন, সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) ‘উচ্চাভিলাষী’ এক প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে ইসরাইল, হামাস, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের দেশগুলোর নেতাদের কাছে।
মিশরের এ প্রস্তাবনায়, গাজা উপত্যকা থেকে ইসরাইলি সব সেনা প্রত্যাহার, ইসরাইলের কারাগারে বন্দি সব ফিলিস্তিনির মুক্তির বিনিময়ে সব ইসরাইলি বন্দিদের মুক্তি এবং যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গাজায় ফিলিস্তিনের নেতৃত্বে একটি ঐক্যবদ্ধ ‘টেকনোক্রেটিক’ সরকার গঠন করার কথা বলা হয়েছে।
প্রস্তাবনার প্রথম দফায়, ৭ থেকে ১০ দিনের একটি যুদ্ধবিরতির হবে। এই সময় হামাস ইসরাইলের সব বেসামরিক বন্দি ছেড়ে দেবে। বিনিময়ে ইসরাইলের কারাগার থেকে ছাড়া পাবে ফিলিস্তিনি বন্দিরা।
দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে, সাত দিনব্যাপী আরেকটি যুদ্ধবিরতির কথা। এই যুদ্ধবিরতিতে হামাস ইসরাইলের নারী বন্দিদের মুক্তি দেবে। বিনিময়ে আরও ফিলিস্তিনিদের মুক্ত করা হবে ইসরাইলের কারাগার থেকে।
তৃতীয় ও শেষ ধাপে, ইসরাইলের সব সামরিক সেনাদের মুক্তির বিনিময়ে সব ফিলিস্তিনিকে মুক্তির বিষয়ে গাজায় যুদ্ধরত পক্ষগুলোর মধ্যে আলোচনা চলবে। মাসব্যাপী এই আলোচনার পর উভয় পক্ষের বন্দি বিনিময় শেষ হলে গাজা থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করবে ইসরাইল।
মিশর ও কাতারের উদ্যোগে নেয়া প্রস্তাবনাটি প্রাথমিক পর্যায়ে আছে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রস্তাবনার বিষয়ে সব পক্ষকে নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো সহজ হবে না। কিন্তু প্রস্তাবনাটি নিয়ে ইসরাইলের মন্ত্রিসভায় আলোচনা চলছে। যদিও গাজায় ক্ষমতা ভাগাভাগি করার বিষয়ে আপত্তি তুলেছে হামাস।