নির্ধারিত সময়ের আড়াই ঘণ্টা পর রাজধানীর কমলাপুর থেকে পঞ্চগড়ের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে আন্তঃনগর ট্রেন একতা এক্সপ্রেস। এর আগে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে কমলাপুর স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়ার পরপরই ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। লাইন সচল হওয়ার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিল কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসও। এতে দুর্ভোগে পড়েন দুই ট্রেনের যাত্রীরা।
কমলাপুর রেল স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্ল্যাটফর্ম থেকে বের হওয়ার সময় ট্রেনের একটি কোচের চারটি চাকা লাইন থেকে বেরিয়ে যায়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চাকাগুলো আবার ট্র্যাকে ওঠানো সম্ভব হয়। পরে ট্রেনটি পঞ্চগড়ের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।’
একতা এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হওয়ায় দীর্ঘসময় পর্যন্ত ওই লাইন বন্ধ ছিল। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর ক্রেন দিয়ে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় পুরো ট্রেন। তিনটি প্ল্যাটফর্ম চালু করে দেয়া হয়। তবে তখনও ভোগান্তি কাটেনি একতা এক্সপ্রেস ও ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসের যাত্রীদের।
যাত্রীদের অভিযোগ, রেল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতার কারণেই কদিন পরপর লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘঠে। যদিও রেল কর্তৃপক্ষের সোজাসাপটা উত্তর: তদন্তের পর জানা যাবে কারণ।
লাইনের ত্রুটির কারণে ক্রমেই অনিরাপদ হয়ে পড়ছে নিরাপদ বাহন রেল। এ জন্য শুধু তদন্ত নয়, ছোট ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে দায়িত্বশীলদের জবাবদিহির আওতায় আনার দাবি সাধারণ যাত্রীদের।