আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের প্রতিটি জেলার উন্নয়ন করাই সরকারের লক্ষ্য। মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যচ্ছে আওয়ামী লীগ। ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতা আছি বলেই দেশ থেকে মঙ্গা দূর হয়েছে। নৌকা মার্কাই মানুষের জীবন মান উন্নত করেছে। নৌকা মার্কা প্রতীকে ভোট দিয়ে আরেকবার আপনাদের সেবা করার সুযোগ করে দিন।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রংপুরের তারাগঞ্জের জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে কেউ ভূমিহীন, কেউ গৃহহীন থাকবে না। আওয়াম লীগ ক্ষমতায় এলেই দেশের উন্নয়ন হয়। বিনামূলে বই ও প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত উপবৃত্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
তিনি আরও বলেন,
রংপুর থেকে শুরু করে লালমনিরহাট, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের প্রতিটি এলাকাই ছিল দুর্ভিক্ষপ্রবণ এলাকা। মঙ্গা লেগেই থাকত। আজকে সেই মঙ্গা নেই, আজকে সেই দুর্ভিক্ষ নেই। ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতা আছি বলেই দেশ থেকে মঙ্গা দূর হয়েছে। দেশের প্রতিটি জেলার উন্নয়ন করাই সরকারের লক্ষ্য। মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যচ্ছে আওয়ামী লীগ। ধারাবাহিকভাবে ক্ষমতা আছি বলেই দেশ থেকে মঙ্গা দূর হয়েছে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন,
৯৬ সালে যখন প্রথম ক্ষমতা গ্রহণ করা হয়, তখন বিনা জামানতে বির্গাচাষীদের কৃষি ঋণের ব্যবস্থা করে দিয়েছিলাম। মাত্র ১০ টাকায় কৃষক যাতে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে পারেন সেই ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে। কৃষকদের কার্ড করে দেয়া হয়েছে। ভর্তুকি দিয়ে সার-বীজ ক্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এছাড়াও কৃষির জন্য বিদ্যুতের ভর্তুকি দেয়া হয়েছে। কৃষি উন্নয়নে সবক্ষেত্রে ভতুকি দেয়া হচ্ছে। এখন আর কাঠের লাঙল নয়, মেশিনে ধান লাগানো ও কাটাও হচ্ছে। সেটার ব্যবস্থাও আওয়ামী লীগ সরকার করে দিয়েছে। ৫০ থেকে ৭০ ভাগ ভর্তুকি দিয়ে কৃষি উপকরণ কেনার ব্যবস্থা করে দেয়া হচ্ছে, কারণ দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা হয়। নৌকা মার্কাই মানুষের জীবন মান উন্নত করেছে। নৌকা মার্কা প্রতীকে ভোট দিয়ে আরেকবার আপনাদের সেবা করার সুযোগ করে দিন বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা থেকে রংপুর পৌঁছেছেন সকালে। গণভবন থেকে সকাল সোয়া ১০টার দিকে রওনা দেন তিনি। বিমানযোগে সৈয়দপুর পৌঁছান তিনি। এ সফরে তার সঙ্গে রয়েছেন ছোট বোন শেখ রেহানাসহ আরও অনেকে। একদিনে নির্বাচনী ৩টি জনসভা করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
এ সফরে তিনি পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিকেল ৩টায় নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিবেন। আগামী ৭ জানুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট চাইতেই প্রধানমন্ত্রীর এ সফর।
এছাড়াও শেখ হাসিনা নিজ বাসভবন লালদীঘি ফতেহপুরে পরিবারের সদস্যদের সাথে মিলিত হয়ে তার স্বামীর (ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া) কবর জিয়ারতসহ নিকট আত্মীয়দের সাথে কুশল বিনিময় করার কথা রয়েছে।
পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীম বলেন, বিকেলে পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের জনসভায় যোগ দিবেন।
শেখ হাসিনাকে বরণ এবং জনসভা সফল করতে সকল প্রস্ততি সম্পন্ন করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। এ জনসভায় প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে মিছিল স্লোগানসহ ব্যাপক লোকসমাগম ঘটবে এবং নিকটবর্তী গাইবান্ধা, দিনাজপুর ও রংপুরের আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সমন্বয়ে প্রায় ২ লক্ষাধিক মানুষের ঢল নামবে জনসভায় আশা নেতাদের।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালের ২২ ডিসেম্বর পীরগঞ্জে একই মাঠে জনসভা করেছেন। এর আগে ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর তরফমৌজা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পথসভা ও লালদীঘির ফতেহপুরের জয়সদনে কর্মী সভা করেন।
প্রধানমন্ত্রী ও পীরগঞ্জের পুত্রবধুর আগমনে গোটা উপজেলায় সাজ সাজ রব, পোস্টারিং ও মাইকিংসহ ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়।