গাজায় ইসরাইলের হত্যাযজ্ঞ স্রেব্রেনিকা ও রুয়ান্ডার মতো বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের গণহত্যা থেকে খুব বেশি ভিন্ন নয়। ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের স্পেশাল র্যাপোর্টিয়ার ফ্রান্সেসকা আলবানিজ এ মন্তব্য করেছেন।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক পোস্টে ফ্রান্সেসকা বলেন, ‘আপনি যদি ভালো করে খেয়াল করেন, এটা (গাজা হত্যাযজ্ঞ) অন্যান্য গণহত্যাগুলো থেকে তেমন ভিন্ন কিছু নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘গণহত্যা মূলত একটি প্রক্রিয়া, একটামাত্র ঘটনা নয়। গাজা গণহত্যা অবশ্যই প্রতিরোধ করা উচিত। যেমনটা উচিতি ছিল স্রেব্রেনিকা ও রুয়ান্ডা গণহত্যা প্রতিরোধ করা। কিন্তু বিশ্ব এটা ঘটতে দিচ্ছে।’
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গত আড়াই মাসেরও বেশি সময় ধরে নির্বিচারে বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। এ হামলায় এরই মধ্যে ২০ হাজারেরও বেশি নিরীহ ও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। যার মধ্যে ৭০ ভাগই নারী ও শিশু।
গত ১৯ ডিসেম্বর গাজার আল-রেমাল এলাকা নিরস্ত্র ১১ ফিলিস্তিনিকে তাদের পরিবারের সদস্যদের সামনে হত্যা করে ইসরাইলি বাহিনী। ভয়াবহ এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে গত ২২ ডিসেম্বর একটি প্রেস রিলিজ প্রকাশ করে জাতিসংঘ। তারই জবাবে এক্স-এ একটি পোস্ট দেন স্পেশাল র্যাপোর্টিয়ার ফ্রান্সেসকা আলবানিজ।
সেই পোস্টে গাজায় ইসরাইলি হত্যাযজ্ঞকে স্রেব্রেনিকা ও রুয়ান্ডাসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে সংঘটিত গণহত্যা সাথে তুলনা করেন জাতিসংঘের এই কর্তকর্তা। গাজা গণহত্যা যেমন বিশ্বের চোখের সামনেই ঘটছে, স্রেব্রেনিকা গণহত্যা ঘটেছিল ইউরোপের চোখের সামনে।
১৯৯৫ সালে বসনিয়া সার্ব বাহিনী পূর্বাঞ্চলীয় শহর স্রেব্রেনিকায় আক্রমণ করে ৮ হাজারের বেশি বসনিয়ান মুসলিম হত্যা করে। চলতি বছর ১১ জুলাই ২০২৩ ছিল স্রেব্রেনিকা গণহত্যার ২৮তম বার্ষিকী।
রুয়ান্ডা গণহত্যা ছিল আরও ভয়াবহ। যা ঘটেছিল ১৯৯৪ সালে। ওই বছরের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত ১০০ দিনের মধ্যে প্রাণ হারিয়েছিল রুয়ান্ডার প্রায় আট লাখ নাগরিক।
এখন থেকে প্রায় ৩০ বছর আগে সংঘটিত গণহত্যার শিকার অধিকাংশই ছিল সংখ্যালঘু তুতসি সম্প্রদায়ের মানুষ। গণহত্যা পরিচালনাকারীরা ছিল হুতু সম্প্রদায়ের।