দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোন আসনে কে পাস করবেন, সেই ফলাফল প্রস্তুত হয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রোববার (২৪ ডিসেম্বর) এক ভার্চু্য়াল ব্রিফিংয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।
নির্বাচনকে নাটক আখ্যা দিয়ে তা রুখে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘কোন আসনে কোন প্রার্থী কত ভোট পাবেন, তা নির্ধারণ হয়ে গেছে। যে সরকার জনগণের অধিকার রক্ষা করে না, সম্মান দেয় না, তাদের সব কর্মকাণ্ডে অসহযোগিতা ও আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করতে হবে। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার রাস্তা উন্মুক্ত করতে হবে। তাই দেশবাসীর প্রতি আহ্বান, এই ভোট বর্জন করুন। সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ুন।’
সরকার নজিরবিহীন ও নির্লজ্জ কায়দায় সিট ভাগাভাগি করে ভোট ভোট খেলায় মেতে উঠেছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন,
১৭৪ আসন প্রায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অটোপাস হলেও ভোট নাটকের জন্য ধরে রাখা হয়েছে। আসলে নিশিরাতের ভোট ডাকাত সরকার ভেতরে ভেতরে এক্সিট খুঁজছে।
প্রধানমন্ত্রীকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন দিয়ে জনপ্রিয়তা পরীক্ষার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘দেশের জনগণ জানে, তারেক রহমানের ক্যারিশমাটিক নেতৃত্ব, অভাবনীয় জনপ্রিয়তা, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা আর রাষ্ট্রনায়কোচিত নেতৃত্বে সরকার আতঙ্কিত, সন্ত্রস্ত। তার নেতৃত্বে এখন দুর্বার আন্দোলনে টালমাটাল গোটা দেশ।’
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নামে মিথ্যাচার করা হচ্ছে দাবি করে বিএনপির এ সিনিয়র নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে গালিগালাজ, মিথ্যাচার, চরিত্রে কলঙ্ক লেপনের অপচেষ্টা, লাগামছাড়া, উসকানিমূলক, অসংলগ্ন ও ভারসাম্যহীন-জিঘাংসামূলক বক্তব্য রাখছেন। পরশু এবং গতকালও যা বলেছেন তাতে বাক্যদূষণে ধুলোবালির পরিমাণ ছিল অনেক বেশি, যা উচ্চারণযোগ্য নয়। যা কোনো সভ্য দেশের সরকারপ্রধানের মুখের ভাষা হতে পারে না।’
এ অবস্থায় দেশবাসীকে ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলন সফল করার আহ্বান জানান রিজভী।