ইসরাইলি বাহিনীর নৃশংস হামলার মধ্যে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় অন্তত ৫০ হাজার গর্ভবতী নারী মৃত্যুঝুঁকিতে রয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের বরাত দিয়ে আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আড়াই মাসেরও বেশি সময় ধরে অনবরত হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। এতে ধ্বংস হয়েছে একাধিক হাসপাতাল। বর্তমানে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ভয়াবহ সময় পার করছেন প্রায় ৫০ হাজার গর্ভবতী নারী। এর মধ্যেই উপত্যকাটিতে প্রতিদিন ১৮০টি শিশু জন্ম নিচ্ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদরোস আধানম গেব্রেয়াসুস এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে জানিয়েছেন, ইসরাইলের হামলার মুখে পড়ে গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ‘ট্র্যাজেডির’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
গাজার চিকিৎসক, নার্স, অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভারসহ সব স্বাস্থ্যকর্মী আহতদের সেবা দেয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। তবে ইসরাইলের ব্যাপক হামলার কারণে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। এ অবস্থায় গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান গেব্রেয়াসুস।
এদিকে রোববার (২৪ ডিসেম্বর) ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্ম সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইসরাইলের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্যে গাজা উপত্যকায় চিকিৎসক এবং নার্সরা তাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা দিয়ে গর্ভবতী নারীদের সেবা করছেন।
গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী। এ হামলা থেকে বাদ পড়ছে না হাসপাতাল, মসজিদ এমনকি শরনার্থী শিবিরও। চলমান এই সংঘাতে এ পর্যন্ত ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী-শিশু। আর আহতের সংখ্যা ৫৩ হাজার ছাড়িয়েছে।