খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিন আজ। যিশু খ্রিস্টের জন্মদিনের আয়োজনে মেতেছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। তবে, গাজা ইস্যুতে চলমান উত্তেজনার কারণে যিশুর জন্মস্থান বেথেলহেমে বড়দিন এসেছে ভিন্নরূপে। ভ্যাটিকান সিটিতে বিশেষ প্রার্থনা করেছেন পোপ ফ্রান্সিস। আর ব্রিটিশ রাজপরিবারের উদ্যোগে করা হয় বিশেষ আয়োজন।
খ্রিস্ট ধর্মমতে, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করার জন্য প্রায় ২ হাজার বছর আগে কুমারিমাতা মেরির কোলে জন্মগ্রহণ করেন যিশু। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কাছে যিশুর জন্মতিথিই সবচেয়ে বড় উৎসবের ক্ষণ বা বড়দিন হিসেবে উদযাপন হয়ে আসছে।
বড়দিন উপলক্ষে ভ্যাটিকান সিটিতে বিশেষ আয়োজন করা হয়। যাতে যোগ দেন খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা পোপ ফ্রান্সিস। যুদ্ধের কারণে যারা দুর্দশায় আছেন তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানান পোপ। একইসঙ্গে যারা নানা কষ্টে আছেন তাদের কথা মনে রেখে বড়দিনে অর্থ অপচয় না করে যা আছে তাই নিয়ে সাদামাটাভাবে উৎসব উদযাপনের আহ্বান জানান তিনি।
ভ্যাটিকান সিটিতে বিশাল আয়োজন হলেও যিশুর জন্মস্থান হিসেবে পরিচিত ফিলিস্তিনের বেথেলহেমে নেই তেমন কোনো আয়োজন। চলমান হামাস ইসরাইল যুদ্ধের কারণে বাতিল করা হয়েছে এবারের আয়োজন। নিরীহ গাজাবাসীর প্রতি সংহতি প্রকাশ করে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন বাসিন্দারা। অনেক শিল্পী আবার বেথেলহেমে গাজার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নবজাতকদের নিজের শিল্পকর্মে ফুটিয়ে তুলেছেন।
গাজার পাশাপাশি যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের খুব বড় আয়োজন নেই বড়দিনের। ঘরোয়াভাবেই উৎসব করছেন অনেকে। শত্রুদের হারিয়েই বড় দিনের উৎসবে মাতবে ইউক্রেনবাসী বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
এদিকে, প্রিন্সেস অব ওয়েলস কেট মিডলটনের আমন্ত্রণে বড়দিনের আয়োজনে অংশ নেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্যরা। উৎসবের এই দিনটি ঘিরে কনসার্টের আয়োজন করা হয়, যেখানে গান পরিবেশন করেন বিখ্যাত শিল্পীরা। আর এই অনুষ্ঠান উপভোগ করেন প্রিন্স উইলিয়ামসসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।
বড়দিন উপলক্ষে উৎসবে মাতেন গ্রিসবাসী। এথেন্স সিটি হলের সামনে অবস্থান নিয়ে স্থানীয় ও পর্যটকরা ফুানস উড়িয়ে সময়টা স্মরণীয় করে রাখার চেষ্টা করেন।
এছাড়াও এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে নানা আয়োজনে উদযাপিত হচ্ছে বড়দিন।