রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের জেরে দুর্ঘটনা পরবর্তী মানসিক চাপ বা পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডারে ভুগছে অনেক ইউক্রেনীয়। এই মানসিক চাপ গাঁজা সেবনের মাধ্যমে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলে মনে করছেন দেশটির আইনপ্রণেতারা।
বার্তা সংস্থা এপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভয়ানক মানসিক স্বাস্থ্যগত পরিস্থিতির মধ্যে গত ১৯ ডিসেম্বর গাঁজা সেবন বৈধ করার পক্ষে ভোট দিয়েছে ইউক্রেনের আইনপ্রণেতারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে দুই বছর পূর্ণ হতে চলেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের। এই দীর্ঘ যুদ্ধের প্রভাবে এখন হাজার হাজার ইউক্রেনীয় পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডারে ভুগছে। এটি একটি মানসিক স্বাস্থ্যগত সমস্যা।
যুদ্ধ বা যুদ্ধের মতো কোনো ভয়ঙ্কর ঘটনা প্রত্যক্ষ করলে বা অনুভব করলে মানুষের মনে এই রোগ হয়। সেই ভয়ঙ্কর ঘটনার ফ্ল্যাশব্যাক চলে মনের মধ্যে। দুঃস্বপ্ন, গুরুতর উদ্বেগ, অনিয়ন্ত্রিত চিন্তাভাবনা চলে মনের ভেতর।
ইউক্রেনের সংসদে এই বিষয়ক একটি খসড়া বিল পেশ করেছিলেন সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস স্মিহাল। সংসদের ৪০১ জন সদস্যের মধ্যে ২৪৮ জন প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।
এপির প্রতিবেদনে অনুযায়ী, বিলটি এখন পাশ হলেও নতুন আইন কার্যকর হতে অন্তত ছয় মাস সময় লাগবে। ইউক্রেনীয় সংসদদের মতে, গাঁজা সেবন বৈধ ইউক্রেনীয় নাগরিকদের ট্রমার উপসর্গগুলোর নিরাময়ে সহায়ক হতে পারে।
অবশ্য ইউক্রেনের নতুন আইনে গাঁজা উৎপাদন ও বিতরণের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হচ্ছে। গাঁজাযুক্ত যেকোনো ওষুধ পেতে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনের প্রয়োজন হবে। এছাড়া গাঁজার বিনোদনমূলক ব্যবহার ফৌজদারি অপরাধ হিসেবেই গণ্য হবে।