২০২৪ সালের বাজেটে রেকর্ড পরিমাণ সামরিক ব্যয় বাড়িয়েছে জাপান। সেইসঙ্গে কমানো হয়েছে সমরাস্ত্র রফতানি। টোকিও বলছে, এমন পদক্ষেপ শুধুমাত্র জাপান নয় বরং পুরো ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ভূমিকা রাখবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) ২০২৪ অর্থ-বছরের বাজেট অনুমোদন দিয়েছে জাপানের মন্ত্রিসভা। যা আগামী বছরের এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে। এতে রেকর্ড পরিমাণে বাড়ানো হয়েছে দেশটির সামরিক ব্যায়।
চলতি বছরের তুলনায় সামরিক ব্যয় প্রায় ১৬ শতাংশ বাড়িয়ে ৫ হাজার ৬’শ কোটি ডলার করেছে ফুমিও কিশিদার সরকার। এসব অর্থ জাপানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি উন্নত করা, এন্টি-ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন, সাইবার নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে। সেই সঙ্গে নতুন বাজেটে কমানো হয়েছে জাপানের সমরাস্ত্র রফতানির পরিমাণও।
এছাড়া ইউক্রেন ছাড়া অন্যসব যুদ্ধরত দেশে অস্ত্র রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ২০২৭ সাল নাগাদ জাপানের সামরিক ব্যায় ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর মত, দেশের মোট জিডিপি’র ২ শতাংশ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। নতুন সামরিক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গেল বছর এ পদক্ষেপ নেয় তারা।
চীন এবং উত্তর কোরিয়াকে ঠেকাতে জাপান সামরিক খাতে এ ব্যয় বাড়িয়েছে। দেশটি আগামী পাঁচ বছরে সামরিক খাতের ব্যয় ৪৩ ট্রিলিয়ন ইয়েনে নিয়ে যেতে চায়।
ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ঘণীভূত হচ্ছে হচ্ছে সামরিক সংঘাতের শঙ্কা। চীন ও উত্তর কোরিয়ার মত দেশগুলো যেমন প্রতিনিয়ত নিজেদের সামরিক সক্ষমতা বাড়াচ্ছে তেমনি সংঘাত মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ যুক্তরাষ্ট্রের মিত্ররা।
সামরিক খাতে ব্যায় বাড়ানোয় শুধুমাত্র জাপান নয় বরং পুরো ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছে টোকিও। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অঞ্চলটিতে চীন ও উত্তর কোরিয়ার হুমকি মোকাবিলায় সামরিক সক্ষমতা জোরদার করছে জাপান।