মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাকিব আল হাসানের নির্বাচনী পোস্টার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীদের হামলায় তিন আওয়ামী লীগ কর্মী আহত হয়েছে। আহতদের মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মাগুরা সদরের চাউলিয়া ইউনিয়নের ধলহরা মোল্লা পাড়ায় সাকিব আল হাসানের পোস্টার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ কর্মীদের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে আপন দুই ভাইসহ ৩ জন আহত হয়েছে।
আহতরা হলেন: মো. জিল্লু মোল্যা, মো. বাবলু মোল্যা ও মো. ডাবলু মোল্যা। তারা মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আহত ব্যক্তিদের বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার ধলহরা গ্রামের মোল্যা পাড়ায়।
আহত ডাবলু মোল্যার ভাতিজা মো. জান্নুর রহমান জানান, শনিবার সকালে ধলহরা গ্রামে মাগুরা-১ আসনের নৌকার প্রার্থী সাকিব আল হাসানের পোস্টার টানানো হয়। মো. সাকায়েত হোসেন সাকু নামে এক নেতার নেতৃত্বে সেই পোস্টার স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা ছিঁড়ে ফেলে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার কাছে ধলহরা আওয়ামী লীগের কর্মীরা জানতে চায় সে কেন পোস্টার ছিঁড়েছে। এ সময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সাকুর নেতৃত্বে মতিয়ার, লুতফর,সাঈদ, জামসের, এরশাদ আকরাম ও মিঠুসহ ৭-৮ জন ব্যক্তি আওয়ামী লীগ কর্মীদের ওপর হামলা। সেভেন গিয়ার ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে পালিয়ে যায় তারা। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করে।
চাউলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হাফিজার রহমান বলেন, ‘ধলহরা গ্রামে মারামারির একটা ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। তিনজন গুরুতর আহত হয়েছে। তারা হাসপাতালে ভর্তি আছে। পুলিশকে জানানো হয়েছে, তারা দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন।’
মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার মো. রাফিকুল আহসান বলেন, ‘শনিবার সন্ধ্যার পরে তিনজন রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, যাদের শরীরে জখমের চিহ্ন ছিল এবং প্রচুর রক্তপাত হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করা হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।’
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কলিমুল্লাহ মুঠোফোনে জানান, চাউলিয়া ইউনিয়নের ধলহরা গ্রামে একটি হামলার ঘটনা ঘটেছে যাতে তিনজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে এটা নির্বাচন কেন্দ্রিক কোনো সহিংসতা নয়, এটা তাদের পারিবারিক কলহকে কেন্দ্র করে ঘটেছে।