কুড়িগ্রামে কনকনে ঠাণ্ডা ও হিমেল হাওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রাতভর ঘন কুয়াশা থাকলেও সকালে সূর্য উঠেনি। এরপর মেঘে ঢাকা রয়েছে গোটা জনপদ। সন্ধ্যার পর থেকে রাতভর ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন থাকে।
শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কুয়াশার সাথে আকাশ মেঘলা থাকায় ঠান্ডার মাত্রা আরো দ্বিগুণ হয়ে উঠেছে। ঠান্ডার প্রকোপ বেশি থাকায় জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। শিশু ও বৃদ্ধরা অতিরিক্ত ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছেন। শীত নিবারণে অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে তা নিবারনের চেষ্টা করছে।আবার কেউ কেউ শীতের গরম কাপড় কিনতে ফুটপাতের দোকানে ভিড় করছেন। ধরলা নদীর পাড়ে শুলকুর বাজার এলাকায় ৭৭ বছরের বৃদ্ধ মহিতুল্ল্যাহ সরকার জানান,জীবনে অনেক ঠান্ডা দেখেছি।কিন্তু এবার একটু ব্যতিক্রম। কেননা কুয়াশা চলে গিয়ে সুর্য যখন উঠবে তখন আবার আকাশ মেঘে ঢাকা।ফলে আমার মত বুড়া মানুষগুলোর শীতে খুব কষ্ট হচ্ছে। এদিকে, গত এক সপ্তাহ ধরে জেলার রাজারহাট আবহাওয়া কৃষি পর্যবেক্ষণাগার অফিস জানায়, এ জেলার তাপমাত্রা গত এক সপ্তাহ ধরে ১০ ডিগ্রি থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। ফলে এ শীতে ঠান্ডার প্রকোপ রয়েছে।তবে সামনে এ তাপমাত্রা আরো বাড়বে এবং শীতের ঠান্ডা কমে আসবে বলে জানানো হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাঈদুল আরীফ জানান, ইতোমধ্যেই শীতার্ত মানুষের মাঝে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ৪৫ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।