ভিক্ষার আসন নিয়ে জাতীয় পার্টি (জাপা) দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। যা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে নগ্ন আসন ভাগাভাগি বলে মন্তব্য করেছেন জনসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীতে নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপিসহ সমমনাদের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি হিসেবে লিফলেট বিতরণ করে এ কথা বলেন তিনি।
জাতীয়
জোনায়েদ সাকি বলেন, ভোট ইস্যুতে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আর ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে তামাশার হবে।
আবার গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, বিএনপি সভ্য দল আর আওয়ামী লীগ অসভ্য দল। তারা গোঁয়ার ও গুণ্ডা-পান্ডাদের দল।
এদিন ঢাকায় সকাল থেকে বিএনপিসহ সমমনা দলের নেতারা লিফলেট ও মানববন্ধনে করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের দিন কেন্দ্রে না যেতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকায় লিফলেট বিতরণ করে অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার হটানো হবে বলে হুঁশিয়ার দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান।
একই জায়গাতে নির্বাচন বয়কটে লিফলেট বিতরণ ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া বলেন, ভোট কেন্দ্রে কেউ যাবেন না, ৭ তারিখ ঘরে বসে থাকবেন। পরিবারের কেউ ভোট দিতে চাইলে, তাকে বাধা দিবেন।
এদিকে সকালে রামপুরা ও শাহজাহানপুর এলাকায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী লিফলেট বিতরণ করে বলেন, সরকার সম্পূর্ণ গায়ের জোরে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে; বিরোধী দল ছাড়াই একতরফা তামাশা ও প্রতারণার নির্বাচনের আয়োজন করছে। এরইমধ্যে এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী, ডামি প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজেরা নিজেরাই সহিংসতা ঘটিয়েছে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ‘তামাশার নির্বচন’ আখ্যা দিয়ে তা বর্জনের ডাক দিয়ে তার পক্ষে সমর্থন আদায়ে গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আর এ ‘অসহযোগ’ আন্দোলনকে সফল করতে গণসংযোগ কর্মসূচি অংশ হিসেবে সারা দেশে লিফটের বিতরণ করা হচ্ছে।
এছাড়াও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের পক্ষে থেকেও লিফলেট বিতরণ করা হয়।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, এ নির্বাচন জনগণের নির্বাচন নয়, আওয়ামী লীগের দলীয় নির্বাচন। তাই এ সরকারকে সরাতে হবে।
সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে ব্যর্থ হয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এ কথা জানিয়ে তিনি, জনগণকে ভোট বর্জনের আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত: বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে অনলাইন ব্রিফিংয়ে আসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। অপরদিকে একইদিন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে একই কর্মসূচির ঘোষণা দেয় গণতন্ত্র মঞ্চ।
উল্লেখ্য, সরকার হঠাতে ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এর পর দফায় দফায় হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপিসহ সমমনারা। এসবের মধ্যে ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। যে নির্বাচনে দেশব্যাপী প্রচার প্রচারণা চলছে। আগামী ৭ জানুয়ারি ভোগগ্রহণ করা হবে।
 দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। যা দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে নগ্ন আসন ভাগাভাগি বলে মন্তব্য){kind=link}