দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় পেতে দিনরাত এলাকায় চষে বেড়াচ্ছেন বাগেরহাট-৩ (মোংলা-রামপাল) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী ইজারাদার। এদিকে তার কর্মী ও সমর্থকদের ওপর হামলা, পোস্টার ছিড়াসহ নানা অভিযোগ তুলেছেন ঈগল প্রতীকের প্রার্থী। এদিকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস প্রশাসনের।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে নির্বাচনী এলাকায় জনসংযোগ করেন (মোংলা-রামপাল) বাগেরহাট-৩ আসনের আওয়ামী লীগ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী ইদ্রিস আলী ইজারাদার।
ভোর থেকেই তিনি ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন এবং ঈগল প্রতীকে ভোট চাচ্ছেন। কর্মী, সমর্থক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বৈদ্যমারী বাজার ও মোংলা বন্দরের শিল্পাঞ্চলের সরকার মার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকায় ঈগল প্রতীকের প্রচারণা চালায়।
এদিকে প্রচারণায় তার কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা, হুমকি, পোস্টার ছিড়া ও প্রচার কাজে ব্যবহৃত মাইকের তার ছিড়ে ফেলারও অভিযোগ করেন নৌকা প্রতীকের লোকজনের বিরুদ্ধে। বর্তমান উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহারের এলাকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও তার পেটুয়া বাহিনীর সন্ত্রাসী কার্যকলাপে তার দিক থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বলে জানান স্বতন্ত্র প্রার্থী ইদ্রিস আলী।
মোংলা-রামপালে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঈগল প্রতীকের জোয়ার উঠেছে উল্লেখ করে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইদ্রিস আলী ইজারাদার বলেন, ‘আওয়ামী লীগের শাসনামলে দেশে নজীরবিহীন উন্নয়ন হয়েছে। তবে তার কিছু লোক এ উন্নয়নের ছোয়া পেয়েও নিজের স্বার্থ হাসিল করার কাজে লিপ্ত ছিল। মানুষ নৌকা প্রতীক নয় স্বতন্ত্র প্রার্থীকে বিজয়ী করে আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় দেখতে চায়।
একই দিনে চতুর্থবারের মতো দলের নৌকা প্রতীক পাওয়া উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহারও সকাল থেকে মোংলা-রামপাল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী গণসংযোগ করেন।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল হক বলেন, ‘মোংলা-রামপাল বাগেরহাট-৩ আসনের ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইদ্রিস আলী ইজারাদার সুন্দরবন ইউনিয়নের লোকজনের ওপর হামলা ও হুমকির বিষয়টি মৌখিকভাবে জানিয়েছে। খবর পেয়ে এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। সত্যতা পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’