লোহিত সাগরে ইসরায়েলগামী বাণিজ্যিক জাহাজ লক্ষ্য করে হামলা শুরু করে হুথি বিদ্রোহীরা। তবে এসব হামলার ঘটনায় হুথিদের সঙ্গে ইরান গভীরভাবে জড়িত বলে অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠীটিকে অস্ত্র ও ট্যাকটিক্যাল ইন্টেলিজেন্স দিয়ে সাহায্য করছে ইরান।
হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমরা জানি ইরান লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজের বিরুদ্ধে অভিযানের পরিকল্পনায় গভীরভাবে জড়িত।
তিনি বলেন, এটি ইরানের দীর্ঘমেয়াদি সমর্থন এবং অঞ্চলে হুথিদের অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ডের উৎসাহের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
গাজা থেকে শত শত মাইল দূরে অবস্থিত সুয়েজ খাল। এই খালের মাধ্যমেই লোহিত সাগর দিয়ে ভূমধ্যসাগরের দিকে জাহাজ চলাচল করে, যা দূরত্ব কমিয়েছে এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে। কিন্তু ইসরায়েল ও হামাসের সংঘাতে নতুন সংকট তৈরি হয়েছে সুয়েজ খালে, যা বিশ্ব অর্থনীতির জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ ইরান সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে বিভিন্ন জাহাজে হামলা চালাচ্ছে। বিশেষ করে ইসরায়েলগামী জাহাজ লক্ষ্য করে।
গাজায় ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে এই পদক্ষেপ নিয়েছে ইয়েমেনের হুথি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৫ ডিসেম্বরের পর পাঁচটি বড় কনটেইনার শিপিং কোম্পানি (সিএমএ সিজিএম, হ্যাপাগ-লয়েড, মারস্ক ও এমএস) লোহিত সাগরে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করেছে। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্ররা মধ্যপ্রাচ্যে নেভাল কার্যক্রম জোরালো করেছে। লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক করতে তারা হুথির বিরুদ্ধে অভিযানও পরিচালনা করতে পারে।
আফ্রিকা ও আরব পেনিনসুলাকে আলাদা করেছে বাবএলমান্দেব প্রণালী। যেখান দিয়ে বিশ্বের প্রায় ১২ শতাংশ বাণিজ্য ও ৩০ শতাংশ কনটেইনার ট্রাফিক সম্পন্ন হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে হুথির হামলার কারণে জাহাজ চলাচল প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে।