প্রতিশ্রুতির ফুলঝুড়ি, দল কিংবা প্রতীককে প্রাধান্য নয়, জনপ্রতিনিধি বাছাইয়ে এবার সাধারণ ভোটাররা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন প্রার্থীর যোগ্যতা, সততা আর জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতায়। পাশাপাশি প্রতিহিংসার বদলে সুস্থ রাজনীতির বার্তা বাহকই আছেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। এছাড়া, চলমান উন্নয়নের ধারা যিনি আরও এগিয়ে নিবেন তিনিই হবেন জনপ্রতিনিধি, এমনটাই বলছেন ভোটাররা।
সময়টা এখন ভোটযুদ্ধের। আর তাইতো প্রচেষ্টার কোনো কমতি নেই। এই প্রচেষ্টা শুধুমাত্র ভোটারের মন কাড়ার। যেখানে গতানুগতি মিছিল-মিটিং-স্লোগানতো আছেই পাশাপাশি ব্যতিক্রমী নানা উপায়ও বেছে নিচ্ছেন প্রার্থীরা।
গণতান্ত্রিক নির্বাচনী ব্যবস্থায় সকল ক্ষমতার অধিকারী ভোটার। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভোটারের মানসিকতায় যেমন পরিবর্তন এসেছে। তেমনি ভোটের মতো গুরুত্বপূর্ণ অধিকার আদায়েও বেড়েছে সচেতনতা। বদলেছে ভোটারের নির্বাচনী ভাবনা। তাইতো ভোটাররা শুধু গতানুগতিক প্রচার-প্রচারণা কিংবা প্রতিশ্রুতির ডামাডোলে গা ভাসাতে রাজি নন। সস্তা জনপ্রিয়তা কিংবা কারো চোখ রাঙানির কাছেও মাথা নত নয়, প্রার্থী বাছাইয়ে দল কিংবা প্রতীক নয় সবথেকে বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে প্রার্থীর ব্যক্তিত্ব।
নির্বাচনের এই সময়ে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষদেরও ভাবনার পুরোটা জুড়ে এখন ভোট। তবে তাদের অঙ্কের হিসাবটা খুব বেশি জটিল নয়। সাধারণ মানুষ অনেকটা সাদামাটা করে প্রার্থী বাছাইয়ের কথা বললেও সেখানেও আছে নিজেদের স্বার্থ। আছে নিজেদের ভালো থাকার ভাবনা।
নির্বাচনের ডামাডোলে ‘আই হেইট পলিটিক্স’ ট্রেন্ড থেকে অনেকটাই বেরিয়ে এসেছেন নতুন ভোটাররা। নিজেদের অধিকার নিয়ে হয়েছেন সরব। বলছেন নিজেদের অধিকার-আর প্রত্যাশার কথা। আর তাইতো ১ কোটি ৫৪ লাখ ৫২ হাজার নতুন ভোটারও বদলে দিতে পারে সমীকরণ।
দেশের রাজনীতির নেতৃত্বে যেই আসুক না কেনো, সকলেরই কামনা সৎ, যোগ্য আর ইতিবাচক রাজনীতির ধারায় শক্তিশালী হোক গণতন্ত্র। প্রতিষ্ঠা পাক গণমানুষের অধিকার।