Homeজাতীয়যাদের ট্যাক্স-বিল বাকি, তালিকা করে আদায় করা হবে: অসহযোগ আন্দোলন প্রসঙ্গে ওবায়দুল...

যাদের ট্যাক্স-বিল বাকি, তালিকা করে আদায় করা হবে: অসহযোগ আন্দোলন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের

যাদের ট্যাক্স ও সেবা খাতের যেমন বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস বিল বাকি রয়েছে, সে সব বকেয়া আদায় করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

বিএনপির ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ট্যাক্স, বিল যাদের বাকি, ঋণ নিয়ে যারা পালিয়েছে, তাদের তালিকা করে আদায় করা হবে। কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান বকেয়া সব আদায় করতে।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

এর আগে বুধবার সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয় বিএনপি। এই আন্দোলনে অংশ নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচনী দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। এছাড়া সরকারকে কর, খাজনা এবং বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানির বিল পরিশোধ বন্ধ করে দেওয়া এবং ব্যাংকে আমানত না রাখার আহ্বান জানানো হয়।

বিএনপির এ আন্দোলনের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, মাঝে মধ্যে যারা আন্দোলন করে পালিয়ে গেছে, তারা বলেন- আওয়ামী লীগ পালানোর জন্য অলিগলি খুঁজে পাবে না। ২৮ তারিখ দেখা গেছে, বিএনপি নেতারা দৌড়েছে। আন্দোলনের মাঠ থেকে পলাতক দল আবার অসহযোগ আন্দোলন শুরু করেছে। জনগণ বিএনপির বিরুদ্ধে অসহযোগ শুরু করবে। কারণ তার প্রমাণ এখন জীবনযাত্রা স্বাভাবিক। বিএনপির ডাকে সাড়া দেয়নি জনগণ। জনগণ নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে।

দেশে উৎসবমুখর পরিবেশ বজায় আছে, বড় কোনো সমস্যা হচ্ছে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গতকাল আওয়ামী লীগের সমাবেশ জনসমুদ্রে রূপান্তরিত হয়েছে। এ জনসমুদ্র প্রমাণ করে ৭ জানুয়ারি জনতার বিজয় হবে।

তিনি আরও বলেন, তারেক রহমান টেমস নদীর ওপার থেকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। দেশে এসে মানুষকে মোকাবিলা করে জেলে যাওয়ার সাহস অর্জন করুক। রিমোট কন্ট্রোল নেতা দিয়ে রাজনীতি হয় না। গুজবে গুজবে বাংলাদেশের আকাশ ভারী হয়ে যাচ্ছে। সব মিথ্যা হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হিমালয়ের মতো অবিচল আওয়ামী লীগ।

গুপ্ত হামলা বন্ধ না করলে জনগণ প্রতিহত করে গণশাস্তি দেবে বলে জানান কাদের। বিএনপি নেতাদের গ্রেফতারের বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপির শীর্ষ নেতাদের জেলে রাখা হয়েছে ২৮ তারিখের হত্যাকাণ্ড ঘটানোর কারণে। শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতি হামলার দায় এড়াতে পারে না। সরকার তাদের রাখেনি। ফৌজদারি অপরাধের দায়ে জেলে। চিরদিন তারা কারাগারে থাকবেন না।

Exit mobile version