ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের রেকর্ডরুমের চুরির ২৪ ঘন্টার মধ্যে চোরসহ মাল উদ্ধার করছে ফরিদপুর সদর থানা পুলিশ। ২৪ ঘন্টার মাথায়, সাংবাদিকদের সামনে চুরি হওয়া ১২ টি ল্যাপটপ ও ৫ চোরকে হাজির করা হলো ফটোসেশানে। উল্লেখ্য, ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের (ডিসি) রেকর্ডরুমের ১২টি ল্যাপটপ কম্পিউটার ও একটি মোবাইল ফোন চুরির হয় গত (২০ ডিসেম্বর) রাতের যে কোন এক সময়। এ ঘটনায় পাঁচ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিষয়টি বৃহস্পতিবার, (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে ফরিদপুর পুলিশ সুপার মোঃ শাহজাহান (পিপিএম সেবা)
সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন। উল্লেখ্য, গ্রেপ্তারকৃতরা হলো৷ সুলতান মুন্সি (২৬), সাহিদুল শেখ (২২), পারভেজ শেখ (২২), মো. লিয়ন শেখ (৩০) ও শামীম খান (৩০)।
ফরিদপুর পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান আরো জানান, ১৭ ডিসেম্বর, রাতে জেলা প্রশাসকের রেকর্ডরুমের (মহাফেজখানা) দরজার তালা ও কড়া ভেঙ্গে চোর প্রবেশ করে। সেখান থেকে ডেল কোম্পানির ১২টি ল্যাপটপ কম্পিউটার ও একটি স্যামসাং মোবাইল ফোন চুরি করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। পরে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় একটি চুরির মামলা হয়। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় জড়িতদের সনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয় ও চুরি হওয়া মালামাল জব্দ করা হয়।
মো. শাহজাহান আরও জানান, গতকাল বুধবার, সন্ধ্যায় শহরের গৃহলক্ষ্মীপুর থেকে সুলতান মুন্সি ও পারভেজ শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়। পারভেজের হেফাজত থেকে একটি চোরাই ল্যাপটপ কম্পিউটার উদ্ধার করা হয়। সুলতান মুন্সির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার বাসা থেকে চারটি ল্যাপটপ, একটি মোবাইল ফোন, চোরাই কাজে ব্যবহৃত একটি সেলাই রেজ, একটি লোহার হাতুড়ি ও একটি লোহার রড উদ্ধার করা হয়। তাদের তথ্য অনুযায়ী অপর আসামী সাহিদুল শেখকে নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার হেফাজত থেকে একটি ল্যাপটপ কম্পিউটার উদ্ধার করা হয়। এরপর আসামি লিয়নকে আলীপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার ও তিনটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। রাজবাড়ী গোয়ালন্দঘাট থানা এলাকা থেকে আসামি শামীমকে গ্রেপ্তার ও দুটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার জানান, গ্রেপ্তার করা আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলার তদন্ত অব্যাহত আছে।