ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মধ্যদিয়ে আগামীদিনের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সিলেটের আলিয়া মাঠ মাদ্রাসায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রথম জনসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ সবার হাতে হাতে মোবাইল ফোন চলে গেছে। আগে কারও হাতে তা ছিল না। ৯৬ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর আমরাই সর্বপ্রথম মোবাইল ফোন উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। বর্তমানে ১৭ কোটি মানুষের দেশে ১৮ কোটি সিম ব্যবহার হচ্ছে।
দেশের মানুষকে স্মার্ট বাংলাদেশ উপহার দিতে গ্রামেও ইন্টারনেট পৌঁছানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজ আমরা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছি। গ্রামেও ইন্টারনেট পৌঁছে গেছে। বর্তমানে ৭৮ ভাগ ইন্টারনেট সেবায় এসেছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের সুবিধা নিয়ে আজ ঘরে বসে ইন্টারনেটের সেবা নিয়ে মানুষ টাকা আয় করতে পারছেন। আগামী দিনের জন্য প্রযুক্তি নির্ভর দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার কাজ চলছে। সারাদেশে হাইটেক পার্ক গড়া হচ্ছে। এছাড়া সিলেটে হাইটেক পার্ক ও ইনকিউবেশন সেন্টার গড়ে তোলা হচ্ছে। বিভিন্ন স্কুলে ডিজিটাল সেন্টার গড়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তবে বিএনপি দেশের উন্নয়ন দেখতে পারে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজ যখন আমরা দেশের উন্নয়ন করে যাচ্ছি। তখন তারা (বিএনপি) আবারও জ্বালাও-পোড়াও শুরু করেছে। তাদের কোনো মন্যুষত্ব নেই বলে ট্রেন-বাসে আগুনের মতো এমন নির্মম ঘটনা তারা ঘটাতে পারে।
এরআগে, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিলেটে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সূচি অনুযায়ী- বরাবরের মতোই সফরের শুরুতে হযরত শাহজালাল (র:) এর দরগাহ্ শরীফ জিয়ারত করেন তিনি। সেখানকার কর্মসূচি শেষে যান হযরত শাহ্ পরাণ (র:) এর মাজারে। এই সফরেও নিরাপত্তা ছাড়া কোনো সরকারি প্রটোকল নেননি প্রধানমন্ত্রী। সফরে তার সঙ্গে রয়েছেন ছোট বোন শেখ রেহানা। এছাড়াও তার সঙ্গে আছেন কেন্দ্রীয় নেতারা ছাড়াও রয়েছে সিলেটের নেতারা।
পরে বিকেলে সোয়া ৩টার দিকে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেন তিনি। জনসভাস্থলে পৌঁছে তিনি জাতীয় পতাকা নেড়ে নেতাকর্মীদের উৎসাহিত করেন।